
—ছবি মুক্ত প্রভাত
সাতক্ষীরা বিআরটিএ অফিসে অভিযান চালিয়ে আবুল হোসেন নামের এক দালালকে আটক করে দুদকের একটি টিম। এ ঘটনায় বিআরটিএ পক্ষ থেকে আটককৃত দালালের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে।
তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই অফিস কর্মচারী সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অদৃশ্য কারনে কোন ব্যাবস্থা নেয়নি বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক মাহাবুব কবির। গত বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে এ অভিযান পরিচালিত। আটকৃত আবুল হোসেন কলারোয়া উপজেলার খোরদো গ্রামের বাসিন্দা।
কর্মচারী সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ পরীক্ষা নিরিক্ষা ছাড়াই বিআরটিএ থেকে মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ অন্যান্য কাগজপত্র করে দেওয়ার জন্য এক ব্যক্তির নিকট থেকে টাকা গ্রহণ।
এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন খুলনা দুদকের সহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান (শুভ্র)।
আটককৃত আবুল হোসেন জানান, তিনি পংকজ সরকার নামে একজন আইনজীবীর সহকারী হিসাবে কর্মরত। সংসার দুঃখ ঘোচাতে লাভের আশায় বেশ কিছু ধরে বিআরটিএ অফিসে কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে নিয়মিত কাজ করে আসছেন।
তিনি যে অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে তাতে অফিসের পরিচালক থেকে শুরু করে পিওন পর্যন্ত জড়িত। কিন্তু উপায় না পেয়ে তারা কে অন্যায় ভাবে আইনের হাতে সেপার্দ করেছে বলে পাল্টা অভিযোগ তোলেন তিনি।
নাম না জানানোর শর্তে সাতক্ষীরা আদালতে চত্বরের এক বাদাম বিক্রেতা জানান, বি আর টি অফিসে প্রতিদিন কয়েক ডজন দালালের আমদানি। এই দালালের মদত দাদা সহকারী পরিচালক মাহাবুব কবির নিজেই।
দুদুক জানায়, বিআরটিএ অফিসে দালালের উপদ্রপ বেড়েছে, এমন খবর পেয়ে তারা অনুসন্ধান করতে থাকেন। পরবর্তীতে ঘটনার সত্যতা পেয়ে তারা অভিযান চালান।
এসময় পরীক্ষা-প্রশিক্ষণ ছাড়াই বিআরটিএ থেকে মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্র করে দেওয়ার জন্য এক ব্যক্তির নিকট থেকে টাকা গ্রহণকালে দুদকের কাছে ধরা পড়েন আবুল হোসেন।
এছাড়া বিকাশ একাউন্ট চেক করে ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্র করে দেওয়ার নামে অতিরিক্ত অর্থ লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায় অফিস সহকারী সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। পরে তাকে আটক করে বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালকের হাতে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়টি নিয়ে একটি রিপোর্ট দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের আদেশের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
সাতক্ষীরা বিআরটিএ সহকারী পরিচালক মাহাবুব কবির বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।