
অচিরেই শুরু হতো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধঃ ডোনাল্ড ট্রাম্প
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ খুব বেশি দূরে ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সবসময়ই চেয়েছিলেন যুদ্ধের বিপরীতে চলতে। সেটাই হতে চলেছে। সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস যদি নভেম্বরে নির্বাচিত হতেন তাহলে একবছরের কম সময়ের মধ্যে বিশ্বব্যাপী সংঘাত দেখা দিত।
বুধবার ১৯ ফেব্রæয়ারী মিয়ামি বিচে সৌদি আরবের একটি প্রতিষ্ঠান আয়োজিত অনুষ্ঠানে এমনটাই মন্তব্য করেন ট্রাম্প। তৃতীয় বিশ^যুদ্ধ ঠেকাতে নিজের নির্বাচনী বিজয় গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
তিনি নিজেকে শান্তি স্থাপনকারী ও ঐক্যবদ্ধকারী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তৃতীয় বিশ^যুদ্ধ করে কারও লাভ নাই। তবে আপনি তা থেকে খুব বেশি দূরে ছিলেন না। আমরা যদি আরও একবছরের জন্য এই প্রশাসন (সাবেক) পেতাম, তবে আমি তৃতীয় বিশ^যুদ্ধে থাকতাম। এখন সেটি হচ্ছে না।
গত মাসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিদায়ী ভাষনে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, তার প্রশাসনের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বকে একত্রিত করা এবং ইউক্রেনকে রক্ষা করা। সেই সঙ্গে দুই পারমানবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে মধ্যে যুদ্ধ এড়ানো। বাইডেন ও কমলা হ্যারিস সহ ওই টিমের সকল সদস্যদের সমালোচনা করেন।
তিনি বরাবরই বলে আসছেন, তার নেতৃত্ব থাকলে ইউক্রেন নিয়ে উত্তেজনা সশস্ত্র সংঘাতে রূপ নিত না। বাইডেনের শাসনামলে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক মেরামত নিয়ে আলোচনরা করতে চলতি সপ্তাহের শুরুতে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের উধ্বর্তন কর্মকর্তরা সৌদি আরবে বৈঠক করেন।
ট্রাম্প আলোচনাকে সহজতর করার ক্ষেত্রে সৌদি আরবের ভূমিকার প্রশংসা করেন। এই কূটনৈতিক ব্যস্ততা ট্রাম্প এবং ইউক্রেনীয় নেতা জেলেনিস্কির মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। সেই সঙ্গে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ইউরোপে।
যারা জোর দিয়েছিলেন কিয়েভকে ছাড়া সংঘাত সম্পর্কিত আলোচনা হওয়া উচিত নয়। ট্রাম্প তার ভাষনে জেলেনস্কির সমালোচনা করে তাকে নির্বাচন ছাড়াই শৈ^রশাসক হিসেবে অভিগিত করেন। তিনি রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সমাধানের পরিবর্তে আমেরিকান সম্পদ ধ্বংস করেছে।