
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের বহুমুখী সমস্যা নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের নিকট ১০ দফা দাবি পেশ করেন বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী ইবি শাখা।
মঙ্গলবার (২৩ মে) বেলা সাড়ে ১১ টায় উপাচার্যের কার্যালয়ে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি আশিকুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক ইয়াশিরুল কবির সৌরভ লিখিত স্বারক-লিপি প্রদান করেন।
তাদের দাবিগুলো-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কাঠামো ডিজিটালাইজেশন করা, প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে নিজস্ব একাউন্ট এর ব্যবস্থা করা, প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল প্রদান, ই-ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করা, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা ও ফুটেজ সংগ্রহ, হল ও ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের দাম ও মান নিশ্চিত করণ, একাডেমিক ভবন ও হল সমূহে মানসম্মত ওয়াশরুম নিশ্চিত করা ও নিয়মিত পরিষ্কার রাখা, হল সমূহে ইন্টারনেট ব্যবস্থা করা, শিক্ষার্থীদের পরিবহন সমস্যা নিরসনে বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি, কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া ও হল সমূহে নিরাপদ পানির ব্যবস্থা ও ওয়াশরুম শিক্ষার্থীদের ব্যবহার উপযোগী করে তুলা, ক্যাম্পাসের ময়লা নিষ্কাশনের জন্য ব্যবহৃত ড্রেন গুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা ও ময়লা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার ডাস্টবিন সরবরাহ করা, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে লাইট বৃদ্ধি, বিভাগের শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষক বাড়াতে হবে।
ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক ইয়াশিরুল কবির সৌরভ বলেন, ''দেশ ডিজিটালাইজেশন হলেও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এখনো চলমান তা মান্ধাতার আমলের গতিতে। যার কারণে প্রতি মূহুর্তে শিক্ষার্থীদের হতে হচ্ছে নানান হয়রানির স্বীকার।
উচ্চতর শিক্ষার জন্য একজন শিক্ষার্থী পাচ্ছে না তার প্রাতিষ্ঠানিক মেইল ও ইন্টারনেট সেবা এবং একজন শিক্ষার্থীর ক্যাম্পাসে চলার জন্য বিভিন্ন অত্যাধিক প্রয়োজনীয় বিষয় চলে আসে যেগুলো দিকে প্রশাসন উদাসীন।
এখানে প্রথমতই আসে একজন শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা, খাবার এবং যোগাযোগ মাধ্যম পরিবহন। এগুলোর প্রতিটিতেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় আমরা প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি সব সমস্যা সমাধান করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উচ্চতর শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ করে দিক।''
এসময় সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের সাথে আলোচনায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম তাদের দাবি গুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।