সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটার কোমরপুরে কুতুব উদ্দিন কাদেরি নামের এক ব্যক্তি কর্তৃক রাসুল (সঃ) কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) জুম্মার নামাজ শেষে একটি মিছিল বের হয়ে ওই ব্যক্তির বাড়ি কোমরপুরে হাজির হন মুসল্লীরা। এ সময় উত্তেজিত মুসল্লীরা কেউ কেউ ক্ষোভে কুতুবউদ্দিনের বাড়ি ভাংচুর করতে থাকে। পরে কুতুবউদ্দিনের বাড়ি সম্মুখে একটি সমাবেশ করে তারা।

এসময় তারা জানায়, গত কয়েক দিন আগে মহানবী (সঃ) এর পবিত্র মেরাজে কেন্দ্র করে কোমরপুর জামে মসজিদের ইমাম ও মসল্লিদের সম্মূখে তিনি মহানবীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলে। মসজিদের ইমাম তুহিন জানান, কুতুব উদ্দীন কাদেরী প্রশ্ন করেন মেরাজের রাতে নবী (সঃ) নিজের ঘরে না থেকে কেন অন্য ঘরে ছিলো। তিনি তার প্রশ্নের মাধ্যমে নবীজি (সঃ) এর চরিত্র নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেন।

এদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। জুম্মার নামাজ শেষে স্থানীয় কয়েকটি মসজিদের মুসল্লিরা একত্রে হয়ে কুতুবের বাড়ি ঘেরাও করে। তবে খবর পেয়ে কুতুব উদ্দিন ও তার স্ত্রী স্থানীয় ইউপি সদস্য পালিয়ে যায়।

তবে এ ঘটনার পর কুতুব উদ্দীন কাদেরী নিজ ফেসবুকে লাইভে এসে এবং সাদা কাগজে লিখে তার মন্তব্যের বিষয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। অপরদিকে তাওহিদী জনতা কুতুবউদ্দিনের ফাঁসির দাবি জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকে।

সেই সাথে প্রশাসনের মাধ্যমে তাকে গ্রেফতার করে রাসূল (সাঃ)-কে নিয়ে কটুক্তির অপরাধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। উল্লেখ্য যে, কুতুব উদ্দীন কাদেরী ভিন্ন মতালম্বী অনুসারী।

বিভিন্ন সময় তিনি সম্মানীয় ব্যক্তিদের বক্তব্য ব্যাঙ্গ করে উপস্থাপন করেন বলেও অভিযোগ আছে। এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের সংক্রিয় সদস্য থাকার সুবাদে দেলোয়ার হুসাইন সাঈদীর জন্য দোয়া করায় মসজিদের ইমামকে অপমান ও অপদাস্থ করেন। সে সময় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও আওয়ামী লীগের ক্ষমতার প্রভাবে দমিয়ে রাখেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।