
—ছবি মুক্ত প্রভাত
দেশ সেরা বিদ্যাপীঠ রাজশাহী কলেজের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মোঃ শাহ তৈয়বুর রহমান চৌধুরীর অবসরজনিত পি.আর.এল বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় রাজশাহী কলেজ ইতিহাস বিভাগের ২০৩ নাম্বার রুমে এই বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মু. যহুর আলী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ ইব্রাহিম আলী, রাজশাহী কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ সেরাজ উদ্দীন।
বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আলামিন হকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মু.যহুর আলী বলেন, “ শিক্ষক হিসেবে প্রফেসর মোঃ শাহ তৈয়বুর রহমান চৌধুরীর ছিলেন একজন ছাত্রবান্ধব এবং তিনি তার শিক্ষকতা জীবনে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তার হাত ধরে ইতিহাস বিভাগ আজ কৃতিত্বের উচ্চতায় পৌঁছেছে। স্যারের অবসরোত্তর জীবন যেন সুস্থ ও সুন্দর হয়, সেই দোয়া ও শুভকামনা রইলো।”
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী কলেজ ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক শামীম আরা ও অধ্যাপক ড. মোঃ রেজাউল করিম।
বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ আনিসুজ্জামান মানিক, সহযোগী অধ্যাপক রতন উদ্দিন আহম্মদ, সহযোগী অধ্যাপক মোঃ তরিকুল ইসলাম আনসারী ও সহযোগী অধ্যাপক মোঃ আবুল বাসার।
প্রভাষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ আব্দুর রহিম ও লিটন কুমার সরকার। এছাড়াও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ইতিহাস বিভাগের সকল সেশনের ছাত্র-ছাত্রীরা।
বিদায় মুহূর্তে আবেগঘন বক্তব্যে প্রফেসর মোঃ শাহ তৈয়বুর রহমান বলেন, “রাজশাহী কলেজে কাটানো সময়গুলো আমার জীবনের স্মৃতিময় অধ্যায়। শিক্ষা আলোকিত সমাজ বিনির্মাণের হাতিয়ার এবং শিক্ষক হলো হলো তার সুনিপুণ কারিগর। তাই আমার শিক্ষার্থীদের প্রতি নির্দেশনা থাকবে, বই পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে যা আমার শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের দরজাকে খুলে আলোকিত করবে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিভার যে ঝলক দেখেছি, তাতে আমি নিশ্চিত, তারা ভবিষ্যতে সফলতার পথে এগিয়ে যাবে। আমার শিক্ষার্থীদের প্রতি সবসময় ভালোবাসা ও দোয়া থাকবে।”
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রফেসর মোঃ শাহ তৈয়বুর রহমান চৌধুরীর জীবনীভিত্তিক একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া অন্যান্য বক্তারা স্যারের কর্মমুখর জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং তার ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য শুভকামনা জানান।
উল্লেখ্য, প্রফেসর মোঃ শাহ তৈয়বুর রহমান চৌধুরীর তার কর্মজীবনে শিক্ষার্থীদের মানসিক, একাডেমিক ও নৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার অবদান রাজশাহী কলেজ ও ইতিহাস বিভাগের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।