
বাংলাদেশ নিয়ে ভাবনায় নতুন ট্রাম্প প্রশাসন
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বিভিন্ন দেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেছেন তা স্পষ্ট করেছেন সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে আনা তদন্ত প্রতিবেদনে। অভিযোগ ছিল বাইডেন প্রশাসন সরাসরি যেকোনো দেশের রাজনৈতিক ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করতেন।
বিভিন্ন দেশের সরকার পতনে এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অস্থিতিশীল করতে তাদের ভূমিকা ছিল কার্যকরী। সম্প্রতি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগেও তাদের ভূমিকাও পরিলক্ষিত।
যুক্তরাষ্ট্র-ভারত- বাংলাদেশ- ছবি সংগৃহিত
বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশের সরকার পতন সহ বিভিন্ন ইস্যুতে নাক গলিয়েছেন। ট্রাম্প প্র্রশাসন এসব বিষয়েই নানারকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। বাতিল করা হয়েছে তাদের নিয়োগ। সম্প্রতি বাংলাদেশ নিয়ে নতুন ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে আলোচনা করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে কি আলোচনা হয়েছেঃ
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আলোচনা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি। ভারতীয় দূতাবাসে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনের কথা বলেন জয় শংকর। সংবাদ সম্মেলনে ভারতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজের ভেরিফাইড এক সাবেক টুইটার একাউন্টে প্রকাশ করেছেন। সেটি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে ।
ভিডিওতে ভারত যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নানা বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে শোনা যায়। ভারতীয় দূতাবাসের সংবাদ সম্মেলনে একেবারে শেষ পর্যায়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালস এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শঙ্কর বললেন হ্যাঁ বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়েছে। আমি মনে করি না যে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলাটা আমার উচিত হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিয়ে প্রশ্নের জবাবে জয় শংকর বলেন দুই দেশের সম্পর্কে সামনে এগিয়ে নিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুস্পষ্ট আগ্রহ রয়েছে। এটা খুবই স্পষ্ট যে নতুন প্রশাসন ট্রাম্পের অফিসের অনুষ্ঠানে ভারতের উপস্থিতি চেয়েছিল তারা। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উপর অগ্রাধিকার দিচ্ছে তারা । এদিকে মঙ্গলবার বৈঠকের বিষয়ে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি যুক্তরাষ্ট্র এর দপ্তরে প্রকাশ করা হয়েছে।
নতুন মুখপাত্র বিজ্ঞপ্তিতে বলছেন- যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে অংশীদারিত্ব জোরদার করার অভিন্ন প্রতিশ্রুতি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়া সম্পর্কে এগিয়ে নেয়ার জন্য ভারতের সঙ্গে কাজ করতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অনিয়ামিত অভিবাসন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প-মোদির ফোন আলাপঃ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম গত ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার পর অভিনন্দন জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিনের পর সোমবার ২৭ জানুয়ারি টেলিফোনে কথা বলেন মোদী ও ট্রাম্প।
সেখানেও দুই দেশের সম্পর্ক আরো মজবুত করতে দুই নেতার কথা হয়েছে। হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে। খুব শিগগিরই ট্রাম্পের আমন্ত্রণে হোয়াইট হাউজে আসছেন ভারতের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।