
—ছবি মুক্ত প্রভাত
ঋণ দেওয়ার নাম করে প্রত্যাশা নামের একটি এনজিও প্রায় ৫০ নারী গ্রাহকের অন্তত ৫ লাখ টাকা আত্মসাত করে লাপাত্তা হয়েছে। সঞ্চয়ের টাকা হারিয়ে দরিদ্র নারীরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ঘটেছে এই ঘটেছে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, আকরামুজ্জামান (৩৫) নামের এক ব্যক্তি প্রত্যাশা নামের এনজিও’র নামে ঋণ দেওয়ার কথা বলেন। স্থানীয় একটি বাড়িতে সাইন বোর্ড টাঙিয়ে খণ্ডকালিন অফিস শুরু করেন। একই সাথে গতকাল রোববার রাতে নাসিরনগর উপজেলা সদরের ভ্যাটেরিনারি ইনস্টিটিউটের কাছে জিয়ার নরহা ভবনে বৃহত আকারে এনজির কার্যক্রম চালানোর জন্য অফিস নেওয়ার কথা বলেন স্থানীয়র ঋণ প্রত্যাশীদের কাছে। একপর্যায়ে ঋণ দেওয়ার নাম করে গ্রামের নারীদের কাছ থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।
অভিযুক্ত আকরামুজ্জামান ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার মুসলেম উদ্দিনের ছেলে। এই প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার কথা জানিয়েছেন ভুক্তভোগি নারীরা।
ক্ষতিগ্রস্ত নারীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রত্যাশার এনজিও’র নির্দেশনার কথা বলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কার্যক্রম চালানোর জন্য কুন্ডার তুল্লা পাড়া, আন্দাবহ, গুচ্ছ গ্রাম, আর্দশ গুচ্ছ গ্রাম, বুড়িশ্বরের তিল পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার নারীদের নিয়ে ছোট ছোট দল গঠন করেন। ১০০ টাকা সঞ্চয় করলে ১০ গুণ ঋণ দেওয়ার প্রলোভণ দেখানো হয়। এতে প্রলুব্ধ হয়ে ৫ থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত জমা করেন গ্রামের সহজ সরল নারীরা।
ভুক্তভোগি নারীরা বলেন, ঋণের লোভে মোছাঃ জাহানারা বেগম ৩০ হাজার, হেলেনা বেগম ২০ হাজার, মোছাঃ সাফারুল বেগম ২০ হাজার, জুয়েলা বেগম ১৫ হাজার, রফিয়া সাড়ে ১৬ হাজার, আজিম সাড়ে ১৫ হাজার, শিরিনা বেগম ৫ হাজার, কুলসুম বেগম সাড়ে ৫ হাজার, নাসরিন ৬ হাজার, সুমন মিয়া ১০ হাজারসহ প্রায় ৫০জন টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন।
নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল আলম মুক্ত প্রভাতকে বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। একারণে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে পারছেন না।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।