
—ছবি সংগৃহিত
কয়েকদিন ধরেই সীমান্তে বিএসএফ এবং ভারতীয় নাগরিকদের সাথে বিজিবি এবং বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা চলছে। দুইদিন আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চোকা সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকদের হামলায় তিন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।
এসময় আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশিদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেডড নিক্ষেপ করে বিএসএফ। এতে ভারতরে বিরুদ্ধে ব্যপক আলাচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে।
এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জন্য টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্বরাষ্ট্র উপেদেষ্টা লেফটেন্যান্ট (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘অনেকে প্রশ্ন করেছেন সীমান্তে বিজিবি কেন সাউন্ড গ্রেনেডড, টিয়ারশেল ছোড়েনি—বিজিবির কাছে তো এগুলো নেই। তাদের কাছে সব লিথ্যাল উইপন (প্রাণঘাতী অস্ত্র) রয়েছে। তারা এটা ব্যবহার করতে পারেনি। আমরা এখন তাদের অনুমতি দিয়েছি এবং খুব তারাতারিড় তাদের জন্য সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল কেনা হবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রাণঘাতী অস্ত্র বিজিবির কাছে আছে। কিন্তু যেগুলো নেই যেমন—টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড। এগুলো কেনার জন্য আমরা অনুমতি দিয়েছি। আপনারা দেখেছেন যে— চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের কাছে এগুলো আছে কিন্তু বিজিবির কাছে নেই।’
তিনি বলেন, সীমান্তে এখন স্থিতিশীল অবসস্থ বিড়াজ করছে। সেখানে বড় ধরণের কোনো সমস্য নেই।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘অনেকেই বাংলাদেশে অবৈধভাবে বসবাস করছে, যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এই সংখ্যা ছিল ৪৯ হাজার ২২৬ জন। সেটি কমে এখন দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৬৪৮ জনে। ৩১ জানুয়ারির তাদের এই সময়সীমা শেষ হয়ে যাবে। এরমধ্যে আমাদের ১০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। যারা অবৈধভাবে আছে তাদের বিরুদ্ধে ৩১ জানুয়ারির পর আইনি ব্যবস্থ নেওয়া হবে। শুধু তাদের বিরুদ্ধে নয়, যারা তাদের কর্মসসংস্থনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুক্ত/আরআই