
ছবি- মুক্ত প্রভাত
কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী রুটে নদের নাব্যতা সংকটে ২মাস ধরে ফেরি সার্ভিস বন্ধ রয়েছে। নদী পথে চলাচলকারী এই ফেরি সার্ভিস যাত্রীদের জন্য যেমন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় তেমনি ব্যবসা বাণিজ্য, কৃষি পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। কিন্তু শুকনো মৌসুমে ফেরি চলাচলে নদের নাব্য সংকট একটি বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। এর ফলে গত ২মাস ধরে ফেরি সার্ভিস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ ফেরি চ্যানেল সচল রাখার জন্য ইতিপূর্বে ড্রেজিং কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও বর্তমানে তা বন্ধ রয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, তাদের ড্রেজিংকৃত পলি নদীতে ফেলার কারণে স্রোতের টানে পলিবালু ভাটি এলাকায় জমা হয়ে আবারো ডুবোচরে সৃষ্টি হয়। বিআইডব্লিউটিসি মেরিন অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, বিআইডব্লিউটিএ’র প্রধান কার্যালয়ের টেকনিকেল টিম এসে অতিরিক্ত পলি জমার কারণে ড্রেজিং কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। চিলমারী-রৌমারি ফেরি সার্ভিসটি প্রধানত জামালপুর, ময়মনসিংহ ও রাজধানী ঢাকার সাথে দেশের উত্তরের জেলাগুলোর সহজ যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
সার্ভিসটি বন্ধ থাকায় যাত্রীদের দৈনন্দিন কঠিনপরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে স্যালো ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে নদীপাড়াপাড় হতে হয়। ব্যবসায়ী খলিল উদ্দিন বলেন, গত ২মাস থেকে ফেরি বন্ধ থাকার কারণে এ পথে মাল বোঝাই ট্রাকসহ যাত্রীরা সহজেই পাড়াপাড় হতে পারছে না। বিআইডব্লিউটিসির অফিসার আরো বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি প্রতিদিনই এক থেকে দেড় ফুট কমছে। অন্য বছরের তুলনায় এবারে পানি হ্রাসের পরিমান বেশি। ফলে, নাব্যতা সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ফেরি চলাচলের জন্য ৬- ৭ফুট পানির গভীরতা প্রয়োজন হয় সেখানে, এই নৌ-চ্যানেলে পানির গভীরতা রয়েছে ৪-৫ফুট। ফলে প্রায়ই ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে।