
—ছবি মুক্ত প্রভাত
শ্যামনগরের আটুলিয়া ইউনিয়ন জুড়ে রমরমা বাণিজ্য করছে কোচিং সেন্টারগুলো। ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা এসব কোচিং সেন্টারগুলো অভিভাবকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। কোচিংসেন্টার খুলে শিক্ষার্থী পড়াশোনার বিজ্ঞাপন দিয়ে দেদারসে ক্লাস নিচ্ছেন সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা।
যানা যায় রাতে কোচিং করতে এসে ছাত্র ছাত্রীরা অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা ও ঘটছে প্রতিনিয়ত। সরেজমিনে দেখা গেছে, শ্যামনগর নওয়াবেঁকী সড়কের পাশে গাজী বাড়ী মসজিদ এলাকা থেকে, নওয়াবেঁকী স্টান্ড প্রর্যন্ত এলাকায় যেন কোচিং সেন্টারের মেলা বসেছে।
সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা প্রাইভেট পড়ানোর জন্য নিজের মুঠোফোন নাম্বারসহ সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন। রাত দিনে কয়েকটি ব্যাচে পড়াচ্ছেন প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী। যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা ২০১২ এর পরিপন্থি।
আটুলিয়া ইউনিয়ন ঘুরে ২৯ টি কোচিং সেন্টার রয়েছে তার মধ্যে আটুলিয়া এ কাদের স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক অবনী কুমার মন্ডল,নওয়াবেঁকী ম্যাধমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আজিজুল ইসলাম,পিযুষ বিশ্বাস, ছফিরুনেচ্ছা ম্যাধমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ত্রিদীপ কুমার , জি এম নাসির উদ্দীন, মিজানুর রহমান সহ অধিকঅংশ সরকারি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা।
এ নিয়ে কথা বলতে চাইলে শিক্ষকদের কেউ কেউ নীতিমালার বিষয়ে জানেন না বলে মন্তব্য করেন। কোচিং সেন্টার নিয়ে কথা বলতে কয়েকটি কোচিং সেন্টারে গিয়ে শিক্ষকদের কাছে প্রশ্ন করতেই বিভিন্ন তাল বাহানা করে ওই স্থান থেকে ছোটকে যাওয়ার ঘটনা ও ঘটেছে।
এ দিকে কোচিং সেন্টারগুলোর বাণিজ্যিক মনোভাবের কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন অভিভাবকরা আবার বর্তমানে দুই তিনটি কোচিংয়ে ভর্তি হওয়া যেন শিক্ষার্থীদের ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে।
শরিফুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক জানান, আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বাধ্য হয়ে দিতে হচ্ছে। তা না হলে ছেলে-মেয়ের পরীক্ষায় ফলাফল খারাপ হবে, সেজন্য দিতে হচ্ছে। স্থানীয় সেচ্ছাসেবক আবু নাঈম জানান এ কোচিং চালানোর কারনে গত কয়েক দিন আগে ছোট কুপট গ্রামের অনু নামের একটি মেয়ে ভিন্ন সম্প্রদায়ের ছেলের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে গলায় রশী পেচিয় আত্যহত্তা করে এবং আমরা স্থানীয় ভাবে শিক্ষকদের বলতে গেলে তারা বলেন আমরা কোচিং চালাবো যা কিছু করার কারেন।
যানাযায় গত ৫ আগস্টের আগে স্থানীয় যুবলীগের একটি গুরুপ কোচিং চালানোর সহযোগীতা করে মাসোয়ারা নিতেন শিক্ষকদের কাছ থেকে। আটুলিয়া ইউনিয়নের সকল সেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে কোচিং বাণিজ্য ও কোচিং সেন্টার গুলোকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের প্রতিকার চেয়ে গত ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার কাছে আবেদন করেন ও কয়েকটি দাবি জানান।
এদিকে কিছুটা কৌশল পরিবর্তন করে বাড়িতে শিক্ষকরা বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের পুরানো এই শিক্ষা বাণিজ্য। অবস্থা এমন আকার ধারণ করেছে যে শিক্ষার্থীরা এক প্রকার জিম্মি হয়ে পড়েছে শিক্ষকদের কাছে, অভিভাবকরাও যেন তাদের কাছে অসহায় হয়ে সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তারা এটাকে নিয়ম হিসেবেই মেনে নিয়েছেন।
শ্যামনগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নূর মোহাম্মদ তেজারত বলেন সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা নীতিমালা অমান্য করে কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা রনী খাতুন বলেন এ বিষয়ে একটা অভিযোগ আসছিল শিক্ষা অফিসার কে ইত্যি মধ্যে বলেছি এবং তাদের বিরুব্দে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে ।