
শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের সময়ও দিল্লি ও ঢাকার মধ্যে যোগাযোগ ছিল- ভারতের সেনাপ্রধান
বাংলাদেশে যখন সরকারের পালাবদল হলো তখনও ভারতের সেনাপ্রধানের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ ছিল। জুলাই-আগষ্টে শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের যে প্রক্রিয়া তা দিই দেশে সেনাপ্রধানদের মধ্যে আলোচনা করেই তা সম্পন্ন হয়েছিল।
গত সোমবারে সেনাবাহিনীর বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল দ্বিবেদী বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কখনো খারাপ ছিল না এমনই এক মন্তব্য করেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা ভারতে আসার ব্যাপারে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে আলোচনা হয়েছিল তা তুলে ধরেন।
২০ নভেম্বরও আমাদের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্স হয়েছিল। ইউনুস সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখনও আমাদের মধ্যে কনফারেন্স হয়েছিল। দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে যোগাযোগ স্বাভাবিকভাবেই চলছে।
গত আগষ্ট মাসে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে অপসারিত হয়ে দেশ ত্যাগ করেন তখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি এয়ারক্রাফট এর মাধ্যমে দিল্লিতে আসেন।
প্রায় ৫ মাস ধরে ভারতে অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা। তবে কোন পর্যায়ে রয়েছে তার কেনো স্পষ্টতা উল্লেখ করেনি ভারত সরকার। এ ব্যাপারে ফ্লাইট ক্লিয়ারেন্স এর অনুমতি আগে থেকেই চাওয়া হয়েছিল দেশটি পার্লামেন্টের কাছে।
এসব সকল কর্মকান্ড হয়েছে দুই সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেই। সংবাদ সম্মেলনে দুই দেশের সম্পর্ক অনেক ভালো উল্লেখ করে বলেন- এখন পর্যন্ত আমাদের সম্পর্ক বেশ ঘনিষ্ঠ। তিনি বলেন ইউনুস সরকারকে নীতিগত সিদ্ধান্তের নিয়মে সাহায্য-সহযোগিতা করে আসছে ভারত সরকার। তবে নির্বাচিত সরকার আসলে কোনো লিমিটেড থাকবে না।