
—ছবি মুক্ত প্রভাত
ঠান্ডা বাতাস এবং ঘন কুয়াশায় অসহায় ও দুস্থ মানুষকে একটু উষ্ণতা দিতে ধারাবাহিক ভাবে কম্বল বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন কুমিল্লা তিতাস উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুমাইয়া মমিন। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সরকারি ভাবে বিভিন্ন মাদরাসা, এতিমখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাজারের নৈশ্যপ্রহরী এবং ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে ধারাবাহিক ভাবে এ কম্বল বিতরণ করে যাচ্ছেন ইউএনও।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার চলতি মৌসুমে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় ছাড়াও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে দুই দফা কম্বল ক্রয়ের জন্য আর্থিক বরাদ্দ প্রদান করা হয়। প্রথম পর্যায়ে ৩ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রায় ১ হাজার ৩০টি কম্বল ক্রয় করা হয়। এসব কম্বল ৯টি ইউনিয়নসহ বিভিন্ন স্থানের ছিন্নমূল ও বাজারে নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব পালনকারীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে বরাদ্দ পাওয়া আড়াই লাখ টাকার ৮৬০টি এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পাওয়া ২৩০টি কম্বল উপজেলার ২৩টি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নৈশ্যপ্রহরীর মাঝে এবং ২৫টি এবতেদায়ী মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
কম্বল পাওয়া উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. নুরুল আমিন বলেন, আমাদের খোজ খবর নিয়ে শীত নিবারণের জন্য মাদ্রাসার ৩৫ জন এতিম শিক্ষার্থীকে কম্বল প্রদান করায় ইউএনও স্যারের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। আল্লাহ উনার মঙ্গল করবেন।
তিতাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমাইয়া মমিন বলেন, শীতবস্ত্র হিসাবে এবার দুইদফা কম্বল বিতরণের জন্য সরকারিভাবে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ২৩০টি কম্বল পাইছি। সে বরাদ্দ দিয়ে ক্রয়কৃত কম্বল উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন এতিমখানায়, স্কুল, বাজারের নৈশপ্রহরী ও ছিন্নমূলসহ প্রকৃত শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করেছি। যদি আরো বরাদ্দ পাই তাহলে এই বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
মুক্ত/আরেফিন