
-ছবি মুক্ত প্রভাত
মাদক সেবনের টাকা যোগাড় করতেই শিশু নুসরাতকে (৯) শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতারকৃত জনি নামের যুবক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন জনি। মূলত মাদকের টাকার জোগাড় করতে শিশুটির কান থেকে দুল খুলে নেয়া হয়। এক পর্যায়ে শিশুটিকে হত্যা করে হাত পা বেঁধে পুকুরে ফেলে দেয়া হয়।
নিহত শিশু সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের রবিউল ইসলাম এর মেয়ে। শিশুটি কুল্যা ইউনিয়নের আগরদাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
গতকাল শনিবার দুপুরে পার্শ্ববর্তী সোলায়মান আজিজীর পুকুরে শিশুটি ভাসমান লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুর্গে পাঠায়।
খবর পেয়ে এএসপি (তালা সার্কেল) হাসানুর রহমান, আশাশুনি থানার ওসি নজরুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন শিশুটির পিতা রবিউল ইসলাম রুবেল।
মামলা দায়ের পর হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জনি নামের এক যুবককে পুলিশি। পুলিশের জিজ্ঞাসা হত্যার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে জনি। পরে তার দেয়ার তথ্যের ভিত্তিতে আরো এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় কানের দুল।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, পুলিশ হেফাজতে নেয়া জনি স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জিজ্ঞাবাদের জন্য আরও দুজনকে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে।
মুক্ত/আরআই