
—ফাইল ছবি
দেশ-জাতীর কল্যান ও পরকালের শান্তি কামনায় আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে বগুড়ার ধুনটে সরুগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের ইজতেমা। নিজাম উদ্দিনের অনুসারীদের এই ইজতেমা ঢাকা কাকরাইল মসজিদের মেহমানদের তত্বাবধানে পরিচালিত হয়।
শনিবার (৭ডিসেম্বর) দুপুর ১২.১০ টায় আখেরী মোনাজাত শুরু হয়। শেষ হয় দুপুর ১২.২৬ টায়। বাংলায় ১৬মিনিট মোনাজাত পরিচালনা করেন ঢাকা কাকরাইল মসজিদের মেহমান শামছুদ্দিন। আখেরী মোনাজাতে মুসল্লিরা দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যান কামনায় দুই হাত তুলে কান্নাকাটি করেন। ক্ষমা প্রার্থনা করে মুসলিম উম্মার ঐক্য ও শান্তি কামনা করেন মুসল্লিরা।
মুসলিম উম্মার অন্যতম এই জমায়েতে অংশ নিতে দেশে-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মুসল্লিরা শরীক হয়েছিলেন ইজমেতায়। হাজারো মুসল্লির আমীন আমীন ধ্বনীতে মুখরিত ইজতেমা ময়দান। কনকনে শীত উপেক্ষা করে আখেরী মোনাজাতে অংশ নিতে সকাল থেকেই মানুষের ঢল নামে ইজতেমা ময়দানে। মাঠ ছাড়িয়ে রাস্তা-ঘাট ও আশপাশের বাড়ির আনাচে-কানাচে যে যেখানে জায়গা পেয়েছেন বসে পড়েছেন মোনাজাতে অংশ নিতে। আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত মুসল্লিদের এই আগমন অব্যাহত ছিল। মোনাজাত শেষে জামাতের লোকেরা ইসলামের দাওয়াতি কাজে ছড়িয়ে পড়েন দেশজুড়ে।
প্রতিদিন ফজর, যোহর, আছর ও মাগরিবের নামাজের পর দেশ ও বিদেশের মুরব্বিরা বয়ান পেশ করেছেন। ইজতেমায় বেশীর ভাগ বয়ান বাংলা ভাষায় করা হয়েছে। এছাড়াও বিদেশী মুরব্বিরা আরবি ও ইংরেজী ভাষায় বয়ান করেছেন। সেগুলো দোভাষীর সাহায্যে বাংলায় অনুবাদ করে মুসল্লিদের শোনানো হয়েছে।
ইজতেমা আয়োজক কমিটির সদস্য হুমায়ন কবির জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শেষ হয়েছে। টঙ্গী বিশ^ ইজতেমা সফল করার লক্ষ্যে এই ইজতেমা থেকে ৯টি জামাত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দাওয়াতি কাজে বেড়িয়ে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল তিন দিনব্যাপী ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা।
মুক্ত/এসএ