বগুড়ার ধুনট উপজেলায় প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে খবির হোসেন নামে মাদ্রাসা শিক্ষকের বাড়ির সীমনা প্রাচীর নির্মানে বাধা দেওয়া সহ জমি বেদখলের  চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় একাধিক অভিযোগ করেও প্রতিকার মিলছে না। ফলে শিক্ষক পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতার মাঝে দিনযাপন করছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জোড়শিমুল গ্রামের ইমার উদ্দিনের ছেলে শিক্ষক খবির হোসেনের প্রতিবেশী হাফিজার রহমানের ছেলে মকিম, হাকিম ও তোজামের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে।

গত ১৫ আগস্ট খবির হোসেন বাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মান কাজ শুরু করে। এ সময় হাকিম ও মকিম সহ তার লোকজন বাধা দেয়। তাদের বাধার কারণে খবির হোসেন সীমনা প্রাচীর
নির্মান করতে পারছেন না। এ ঘটনায় খবির হোসেন বাদি হয়ে মকিম, হাকিম সহ ৩ জনের নামে থানায় অভিযোগ করেন।

ওই অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই মামলার আসামিরা সীমনা প্রাচীর নির্মানে বাধা কিংবা জমি দখলের চেষ্টা করবে না মর্মে আদালতে হাজির হয়ে বিচারকের কাছে মুচলেকা প্রদান করে।

তারপরও তারা সীমনা প্রাচীর নির্মানে বাধা ও জমি বেদখলের চেষ্টা করে আসছে। এ ঘটনায় ১৭ ও ২৫ নভেম্বর খবির হোসেন আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় ফের পৃথক ২টি অভিযোগ
করেন। তারপরও আসামিদের হাত থেকে শিক্ষক পরিবারটি রক্ষা পাচ্ছে না। থানায় অভিযোগ করায় আসামিরা আরো ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।

এ বিষয়ে মকিম হোসেন জানান, ওয়ারিশ সূত্রে আমরা খবিরের জমির অংশিদার। কিন্ত তিনি আমাদের পাওনা বুঝে দিচ্ছেন না। এ কারণে আমারা জমির অংশ বুঝে
নেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্ত তিনি বার বার আমাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করছেন।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, অভিযোগ গুলোর তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে। অপরদিকে বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংসার চেষ্টা চলছে।