
—ছবি মুক্ত প্রভাত
উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের বেতবাড়ী-শাহজাহানপুর কাঁচা সড়কটি অনেক দিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে।চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী। ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কে বেতবাড়ী গ্রামের মধ্যের অংশে সৃষ্টি হয়েছে অনেক গুলো বড় গর্ত। ফলে এই পথে যানবাহন চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘ্ন হচ্ছে। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়িয়ে দেয়।
সড়কটির ৫০০ মিটার অংশ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উল্লাপাড়া অফিস থেকে ইতোমধ্যে পাকা করা হয়েছে। বাকি সাড়ে ৩ কিলোমিটার অংশের অবস্থা একেবারেই নাজুক হয়ে পড়েছে। এই সড়ক দিয়ে ইউনিয়নের অন্ততঃ ৮ গ্রামের মানুষ নিয়মিত যাতায়াত করে থাকেন।
স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম ও আল আমিন হোসেন জানান, এই রাস্তাটির দুরবস্থা দীর্ঘদিনের। প্রতিদিন এই কাঁচা রাস্তা দিয়ে এলাকার, বেতবাড়ী, বন্যাকান্দী, পূর্ব সাতবাড়ীয়া, বেতকান্দি, ছোট লক্ষীপুর, বড় লক্ষীপুর, শাহজাহানপুরসহ অন্ততঃ ৮ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদের কাছে অনেক বার আবেদন নিবেদন করার পর সামান্য পরিসরে মাটির কাজ করা হয়েছিল। এরপর গ্রামবাসীর সহযোগিতায় স্বেচ্ছাশ্রমেও বেতবাড়ী অংশে দুই বার মাটি ফেলা হয়েছিল। রাস্তাটি পাকা করার জন্য এলজিইডি’র উল্লাপাড়া অফিসে বার বার আবেদন করা পর বছর দুয়েক আগে রাস্তার লক্ষীপুর গ্রামে ৫০০ মিটার অংশ পাকা করা হয়েছে। বাকি অশং পাকা না করার কারনে রাস্তাটির মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছেে এতে এই পথে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বেতবাড়ী গ্রামের মধ্যের অবস্থা খুবই খারাপ। এই গ্রামের মাঝে বেশ কয়েকটি বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ওই অংশে মালামালসহ ভ্যান রিক্সাগুলো চলাচল করতে গিয়ে চরম বিপত্তির মধ্যে পড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মালবাহী ভ্যানচালকেরা তাদের সহযোগিতা নিয়ে রাস্তার গর্তগুলো পার করছেন। বর্ষা বৃষ্টির দিনে রাস্তা জুড়ে কাদা হয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজনের চলাচলে দুর্ভোগের সীমা থাকে না। এলাকার বাসিন্দারা উক্ত কাঁচা সড়কের অবশিষ্ট সাড়ে ৩ কিলোমিটার অংশ পাকা করণের জন্য উল্লাপাড়া এলজিইডি’র অফিসের প্রতি অবেদন জানিয়েছেন।
এলজিইডি উল্লাপাড়া কার্যালয়ের উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আবু সায়েদ এর সঙ্গে কথা বললে তিনি উক্ত রাস্তায় স্থানীয় লোকজনের চলাচলে চরম দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, রাস্তার কিছু অংশ পাকা করা হয়েছে। অবশিষ্ট অংশ পাকা করার জন্য ইতোমধ্যেই তার অফিস কার্যক্রম শুরু করেছে। পর্যায়ক্রমে এই রাস্তার পুড়ো অংশ পাকা করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই প্রকৌশলী।
মুক্ত/এসএ