
—ছবি মুক্ত প্রভাত
সরকারি সুযোগ সুবিধার পাওয়ার জন্য মৃত এক বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হিসেবে ওয়ারিশ সনদ নিয়েছেন মাজেদা বেগম নামের এক নারী। এঘটনায় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জেমস মল্লিকের বিরুদ্ধে অনৈতক সুবিধার বিনিময়ে ওই ওয়ারিশন সনদ ইস্যু করার অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি বগুড়ার ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদে ঘটেছে ওই ঘটনা। প্রতিকার চেয়ে প্রতারক মাজেদা বেগম ও চেয়ারম্যান জেমস মল্লিকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রনি বাবু।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৭ মাগে মারা গেছেন মথুরাপুর ইউনিয়নের ধেরুয়াহাটি গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা ছাবেদ আলী। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী তারা বানুসহ এক পুত্র ও ৩ কন্যা সন্তান রেখে গেছেন। সম্প্রতি একই গ্রামের আব্দুর রহমানের কন্যা মাজেদা খাতুন প্রয়াত ওই মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হিসেবে ওয়ারিশ সনদ গ্রহণ করে নিজেকে মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছেন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগকারী রনি বাবু বলেন, পিতার জীবদ্দশায় তারা দ্বিতীয় সংসারের কথা শুনেননি। কিন্তু সম্প্রতি একজন নারী তাদের বিমাতা হিসেবে দাবি করছেন। পিতার স্ত্রীর হিসেবে ওয়ারিশয়ান সনদও নিয়েছেন। এতে করে তারা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন।
তিনি বলেন, অর্থের বিনিময়ে গোপনে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভুয়া ওয়ারিশিয়ান সনদপত্র তৈরি করে নিয়েছেন। ওই নারীকে ওয়ারিশ হিসেবে চ্যালেঞ্জ করলে তিনি বিবাহের কোন কাবিন বা প্রমানাদীও দেখাতে পারেননি।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান জেমস মল্লিক ও মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী দাবি করা মাজেদা বেগমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিমেল রিছিল অভিযোগ প্রাপ্তির তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হবে।
মুক্ত/আরআই