
—ছবি মুক্ত প্রভাত
বেপরোয়া গতির দুটি ট্রাকের ধাক্কায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে এবং বিকেলে বনপাড়া-হাটিকুমরুল ও নাটোর-পাবনা মহসড়কে পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় ওই প্রাণহানি হয়। নিহত চার ব্যক্তির লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকালে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের গুরুদাসপুর অংশের ১০ নম্বর ব্রীজের ওপর ঘটা দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। লাশদুটি উদ্ধার করে নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ট্রাকটিকে শনাক্ত করা যায়নি।
নিহত মোতালেব হোসেন (৪৫) পাবনার চাটমোহর উপজেলার কেশবপুর গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে এবং শাহ আলম (৪৭) একই গ্রামের মৃত জয়েন প্রামাণিকের ছেলে।
নিহতের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত দুই ব্যক্তি বাড়ি থেকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়ক হয়ে গুরুদাসপুরের চাঁচকৈড় বাজারে সার-কীট নাশক ক্রয়ের জন্য যাচ্ছিলেন। এসময় নাটোর থেকে ঢাকাগামি একটি বেপরোয়া ট্রাক ১০ নম্বর ব্রিজের ওপর মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই ওই দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
এরআগে মঙ্গলবার সকাল ছয়টার দিকে নাটোর-পাবনা মহাসড়কের লালপুর অংশের কদমচিলান এলাকায় আরো একটি দুর্ঘটনা ঘটে। পাবনা থেকে নাটোর অভিমুখী বেপরোয়া গতির সুপারি বোঝাই একটি ট্রাক ব্যাটারিচালিত ভ্যানকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই বড়াইগ্রাম উপজেলার ধানাইদহ গ্রামের এসার উদ্দিনের ছেলে ভ্যানচালক আলফু থান্দার নিহত হন। এসময় বাগেরহাট জেলার কচুয়া এলাকার বাসিন্দা ট্রাক চালক মোস্তাকিমকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনিও মারা যান।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা বলেন, ব্যাটারিচালিত একটি ভ্যান নিয়ে কয়েন বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় ভ্যান নিয়ে মহাসড়কে উঠতেই নাটোর অভিমুখী বেপরোয়া গতির একটি ট্রাক ভ্যানটিকে ধাক্কা দিয়ে নিয়স্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে। ঘটনস্থলেই ভ্যানচালক মারা গেলেও ট্রাকের চালক মুস্তাকিম গুরুতর আহত হয়ে ট্রাকের ভেতর আটকা পড়েন। পড়ে বনপাড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ট্রাক চালককে উদ্ধার করে বনপাড়া পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ইসমাইল হোসেন ও গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ে ও থানা পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করেছে। পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত চার ব্যক্তির লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে দ্রুত গতিতে ট্রাকটি সটকে পড়ায় গুরুদাসপুরের দুর্ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।