
—ছবি মুক্ত প্রভাত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ‘ইবি থানা’ স্থানান্তর না করার দাবি তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয় থানা ও উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটি। মঙ্গলবার দুপুরে (১২ নভেম্বর) থানা ও উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটির একটি প্রতিনিধিদল জার্নালিজম বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ রশিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা করে।
‘ইবি থানা’ হস্তান্তর না করার বিষয়ে এ দিন দুপুর তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যারয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নকীব মোঃ নসরুল্লাহকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা ও উপজেলা বর্তমান কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডক্টর মোঃ তৌহিদুল হাসান লাবু, সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দীক, সাংগঠনিক সম্পাদক ডক্টর শহিদুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান মিলটন, আনিছুর রহমান, আলমগীর হোসেন, এস আর শিপন, অ্যাডভোকেট রাশেদুল ইসলাম রাশেদ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়টি কুষ্টিয়া সদর উপজেলা অংশে প্রতিষ্ঠা হলেও ক্যাম্পাসটি শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দুরে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে ক্যাম্পাসের ভেতর ‘ইবি থানা’ নামে একটি থানা প্রতিষ্টা করে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ শুরু করে পুলিশ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে না জানিয়ে প্রথমে ২০২২ সালে ‘ইবি থানা’টি সদর উপজেলার ঝাউদিয়া এলাকায় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায়। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইবি থানাকে ঝাউদিয়া পুলিশ ক্যাম্প ও ঝাউদিয়া পুলিশ ক্যাম্পকে ইবি পুলিশ ক্যাম্প করার সিদ্ধান্ত হয়।
অথচ ইবি থানা থেকেই আশপাশের অন্তত ৭টি ইউনিয়নের শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করে পুলিশ। ক্যাম্পাস থেকে থানা সরানোর মতো উদ্ভট সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাবেক, বর্তমান শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা।
এ সময় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা ও উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও এলাকার মানুষের মতামত না নিয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক ব্যক্তি মিথ্যা তথ্য দিয়ে এই থানাকে সরিয়ে ১৬ কিলোমিটার দূরে দুর্গম ঝাউদিয়ায় নেওয়ার অপচেষ্টা করেছে। গত ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর নিকার কমিটির সভায় ঝাউদিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা স্থানান্তর এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও এলাকাবাসীর সম্মতিতে থানা স্থানান্তর করে এখানে পুলিশ ক্যাম্প প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়। সে সময় প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যমে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম স্পষ্ট করে জানিয়েছিলেন, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কিছুই জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই থানাটি রাখার দাবি তাদের। কারণ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জ ন করতে আসেন। এস ব শিক্ষার্থীরা আগামীর ভবিষ্যৎ। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি মহিলা হলসহ আবাসিক অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ‘ইবি থানাটি’ ক্যাম্পাসেই রাখতে হবে। এজন্য তিনি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবেন।
তবে ইবি থানার ওসি মোবাইল না ধরায় এ ব্যপারে তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হযনি।