
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত ম্যানেজমেন্ট বিভাগের নবীনবরণ ও বিদায়ী শিক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠানে সূরের মূর্ছনায় শিক্ষার্থীদের মাতিয়েছে কাওয়ালী সংগঠন 'মেহফিল'। জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতিকে সামনে রেখে আত্মপ্রকাশ করা সংগঠনটি ইতোমধ্যেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ইবি শিক্ষার্থীদের মাঝে।
গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত নবীনবরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কাওয়ালী ও বিভিন্ন গান পরিবেশন করেন সাংস্কৃতিক সংগঠন মেহফিলের শিল্পীরা৷ এসময় তারা ইয়া সায়্যিদি ইশফা'লানা, দে দে পাল তুলে দে, মন আমার দেহ ঘড়ি সহ কয়েকটি গান পরিবেশন করেন।
জানা যায়, মেহফিল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক একটি কাওয়ালী সংগঠন। জুলাই বিপ্লবের স্মৃতিকে ধারণ করে সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চার প্রসার ঘটাতে মূলত এই সংগঠনের যাত্রা। ক্যাম্পাসে কাওয়ালী ও বাংলা লোকগানের প্রচার মেহফিলের মূল উদ্দেশ্য। তারই ধারাবাহিকতায় গত ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আয়োজিত সাদ্দাম হোসেন হলের মাঠে আয়োজিত কাওয়ালী অনুষ্ঠানে অংশ নেয় তারা। পরবর্তীতে, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনুষ্ঠানে আবারো সূরের জাদু নিয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে হাজির হয় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'মেহফিল'।
মেহফিলের প্রধান আহ্বায়ক ফজলে রাব্বি বলেন, মেহফিল আমাদের ইবি ভিত্তিক একটি কাওয়ালী সংগঠন। সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক চর্চা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতেই আমাদের এই উদ্যোগ। আমরা সবাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ই শিক্ষার্থী। জুলাই বিপ্লবের স্মৃতিকে ধারণ করে মূলত আমরা এই সংগঠনটি খুলেছি। ক্যাম্পাসের কাওয়ালী অনুষ্ঠানে আমরা পার্ফম করেছিলাম, সেগুলো অনেক সাড়া ফেলেছে। আমাদের দর্শক-শ্রোতারা খুব প্রশংসাও করেছে যা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার মূল রশদ।
মেহফিল গঠনের উদ্দেশ্য ও ভবিষ্যতের ব্যাপারে তিনি বলেন, মেহফিলের উদ্দেশ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা মৌলিক একটি মহাজাগতিক ও আধ্যাত্মিক ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে। যে ৩টি মূলনীতির উপর সৃষ্টিজগত অস্তিত্বশীল তার একটি সঙ্গীত। সঙ্গীত ও সঙ্গীতের সুনির্দিষ্ট তরঙ্গ দিয়ে আমরা মেটাফিজিক্যালি মহাবিশ্বের তন্ত্রীতে আঘাত করতে পারলে এবং সৃষ্টির দেয়ালে আধ্যাত্মিকভাবে ফাটল ধরাতে পারলেই তা স্রষ্টার সিংহাসনের দিকে যাত্রা শুরু করতে পারবে। এছাড়া জামি, রুমি, হাফিজ, গালিব, বুল্লে শাহ, গ্যেটে, লালন, ইকবাল প্রমুখ মহাত্মনদের কালাম, উপলব্ধি ও দর্শন আমাদের পরিমণ্ডলে সঙ্গীতের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ব্যাপক প্রস্তুতি মেহফিলকে ভবিষ্যৎ নির্দেশনা প্রদান করবে।