
রাণীশংকৈলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের খাদ্য সরবরাহের দরপত্র নিয়ে গড়িমসির অভিযোগ
ঠাকুরগাঁও রানীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীদের মাঝে খাদ্য সরবরাহ(পথ্য),ষ্টেশনারী মালামাল সরবরাহ ও লিলেন ধোলাই কাজের দরপত্র আহবান করার পর। তা নিয়মনুযায়ী বাস্তবায়নে গড়িমসি করার অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন চিকিৎসক নুর নেওয়াজ ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে ৬জন ঠিকাদার স্বাস্থ্য পরিচালক রংপুরসহ বিভিন্ন দপ্তরের গত ২০ অক্টোবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। তারা হলেন, মাসুদ রানা,মনির হোসেন, আব্দুল করিম, মোখলেসুর রহমানসহ মোট ৬ জন।
অভিযোগ রয়েছে,দরপত্রের মূল্যয়ন হওয়ার প্রায় দেড়মাস পার হলেও এখনো নিয়মনুযায়ী কোন ঠিকাদার নির্বাচন করছেন না কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন অফিসে অযথায় প্রায় ১০ দিন ফাইলটি আটকে রেখে। রংপুর স্বাস্থ্য পরিচালক বরাবরে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হলেও। সেখানে ফাইলের সমস্যা আছে মর্মে ফাইলটি সেখানেও লাল ফিতায় বন্দি করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ১৮ আগষ্ট ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পথ্য,স্টেশনারী,লিলেন লাইয়ের দরপত্র আহবান করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক আব্দুস সামাদ।
এ দরপত্র ক্রয়ের শেষ সময় ছিল ১ সেপ্টেম্বর। দরপত্রের বাক্স উন্মুক্ত করা হয় ৬ সেপ্টেম্বর। এ সময় দরপত্রে দাখিলকৃত ১৪ জন ঠিকাদার বা তার প্রতিনিধির উপস্থিতি দরপত্র কমিটি কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে খাদ্য সরবরাহের জন্য ১৪ জনের দরপত্র পায় । সেখানে সবোর্চ দরদাতা নির্ধারণ হয় মহসিন আলী, সর্বনিন্ম দর দাতা মাসুদ রানা নির্ধারণ হয়।
নিয়মনুযায়ী ৮ সেপ্টেম্বর দরপত্র মূল্যয়ন কমিটির সভা হওয়ার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে সে সভা হয়নি। অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়। আ’লীগ নেতা হেদায়তুল্লাহ মেম্বার ও তার জামাই আব্দুল মান্নান যারা বিগত ১৫ বছর ধরে একাধারে বিভিন্ন নামে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের খাদ্য সরবরাহের ঠিকাদারী ধরে রেখেছেন।
তাদেরকে মোটা অংকের টাকায় পূনরায় ঠিকাদারী দেওয়ার চেষ্টায় এ দরপত্রের ঝামেলাটির সমাধান দিচ্ছে না ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন চিকিৎসক নুর নেওয়াজ ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক আব্দুস সামাদ। ওই ৬ঠিকাদার উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে নিয়মনুযায়ী ঠিকাদার নিয়োগের ব্যবস্থা করার দাবী জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক আব্দুস সমাদ বলেন, নিয়মনুযায়ী দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ হবে। কোন অনিয়মের সুযোগ নেয়। ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন চিকিৎসক নুর নেওয়াজ বলেন, এখানে তার কোন সম্পৃক্ততা নেয়। নিয়মের মধ্যে যে পাবেন তাকেই যেন ঠিকাদারী দেওয়া হয়। সেদিকে তিনি নজর রাখবেন বলে জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, জানামতে দরপত্র মূল্যয়ন করে অনুমোদনের জন্য রংপুরে পাঠানো হয়েছিল। সামান্য জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। সে জটিলতা নিরসন করে দ্রুতই ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে রংপুর স্বাস্থ্য পরিচালক হারুন রশিদকে ফোন দিলে তিনি বলেন, বিষয়টি তার তেমন জানা নেয় । তবে বিষয়টির খোজ খবর নিয়ে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।