
—ছবি মুক্ত প্রভাত
দেশের ছাত্র সমাজ ও সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞ চালানোর প্রতিবাদে ছাত্রলীগকে বাংলাদেশের মাটিতে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগকে অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। ফ্যাসিবাদের হাত থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রথমেই ছাত্রলীগ নামক দানব থেকে মুক্তি পেতে হবে। তারা কথায় কথায় আমাদের মৌলবাদী বলে, জঙ্গিবাদী বলে।
কিন্তু বাংলাদেশের মাটিতে যদি কোন জঙ্গি সংগঠন থাকে তাহলে সেটা হচ্ছে এই ছাত্রলীগ। এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। আমি এই সরকারকে ৭দফা দিয়েছি তন্মধ্যে এটা অন্যতম।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের করিডোরে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক বলেন, বর্তমান যুগ স্যোশাল মিডিয়ার যুগ। এখানেই আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক পরিচয় দিতে হবে। একটা বিপ্লব শেষ হওয়ারও ২ মাস হয় নাই এর মধ্যেই আমরা শেখ হাসিনার কর্মকান্ড ভুলে যেতে শুরু করেছি। এটা আসলেই ভয়ংকর।
শেখ হাসিনা দেশের কতোটা সর্বনাশ করে গেছে, কিভাবে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে এর আলোচনা কিন্তু আস্তে আস্তে কমে আসছে। শেখ হাসিনা আমাদের শিক্ষা, বিচারবিভাগ, অর্থনীতি সবই ধ্বংস করেছে। আমাদের ব্যাংকিং সেক্টর নষ্ট করে দিয়েছে লুট করে। শেখ হাসিনার সময়ে বিদেশী ঋণ ১০ গুণ বেড়েছে। প্রতিটা সেক্টরে আপনাদের ধরে ধরে সংস্কার করতে হবে।
অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্যকে করে মাহমুদুর রহমান বলেন, সরকার দায়িত্ব নেওয়ার দু'মাস পার হয়ে গেছে কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোন অ্যাকশন নেয় নাই। এখনো আমরা ভারতের কাছে জোরালো দাবি করতে পারি নাই যে হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত দিয়ে দাও।
ভারত এখনো হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয় নাই। রাজনৈতিক আশ্রয় না দেওয়ার পরেও কোন অধিকারের হাসিনা এখনো ভারতে বসে থাকে। সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে হাসিনা ভারতে বসে আছে এবং বাংলাদেশের শত শত মন্ত্রী এমপি ভারতে বসে আছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের জোরালো আওয়াজ তুলতে হবে। ভারতীয় হাইকমিশনকে ডেকে বলতে হবে হাসিনা অপরাধী।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমার দেশের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বাংলাদেশ জার্নালিস্ট ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ, ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট ও শতাধিক শিক্ষার্থীবৃন্দ।