
কোলাজ মুক্ত প্রভাত
দীর্ঘদিন চাকুরি করেও এমপিওভুক্ত না হওয়ায় ১০৬জন শিক্ষক চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে এনটিআরসিএ’র সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন এসব শিক্ষকেরা।
আরো পড়ুন———
» দুর্বল শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে রাষ্ট্র বিনির্মাণ সম্ভব নয়
» বৈষম্যের আবর্তে ঘেো এমপিও শিক্ষকদের জীবন
» বদলি নিয়ে বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য সুখবর
» বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
নিয়োগপ্রাপ্ত এই ১০৬ শিক্ষককে ননএমপিও প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ করেছিল এনটিআরসিএ। বিষয়টি নিয়ে মাউশি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএ দপ্তরে স্মারকলিপিও দিয়েছেন ‘এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশ প্রাপ্ত বেতনবিহীন শিক্ষক পরিষদ’। বিষয়টি নিয়ে দায়সারা কথা বলছে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষকেরা বলছেন— নিবন্ধনে পাস করার পর এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দিতে সুপারিশ করার কথা। অথচ নিবন্ধন ও প্রত্যায়ণ কর্তৃপক্ষ এনটিআরসিএ এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা বলে ননএমপিও প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ করেছে। বিশেষ করে প্রথম ও দ্বিতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে এ ধরণের প্রতারণা করা হয়েছে। এনটিআরসিএ’র আধুনিক এই প্রতারণার শিকার হয়েছেন সারাদেশের ১০৬ জন শিক্ষক। দীর্ঘদিন ধরে বেতনবিহীন চাকুরি করে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। একইসাথে সামাজিকভাবে হচ্ছেন হেও।
আরো পড়ুন———
» শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে শিক্ষকদের কর্মসূচি শুরু
» বেসরকারি শিক্ষকরা বদলির সুযোগ পাচ্ছেন
» যেসব শর্তে বদলি হতে পারবেন বেসরকারি শিক্ষকরা
‘এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশ প্রাপ্ত বেতনবিহীন শিক্ষক পরিষদের কেন্দ্রিয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক প্রভাষক জামাল হোসাইন মুক্ত প্রভাতকে বলেন, বিষয়টি সুরাহার জন্য মাউশি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএ দপ্তরে আবেদন নিবেদন করেছেন। তাতে কর্ণপাত করছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অথচ এনটিআরসিএ’র ভুলে বেতনবিহীন চাকুরি করতে গিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা।
তবে কিছুটা আশার বানি শুনিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টার একান্ত সচিব। তিনি বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টার একান্ত সচিব এই সংকট নিরসনে আন্তরিকভাবে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছেন। তারা জাতি গড়ার কারিগর শিক্ষকদের এমন অবহেলায় ফেলে দেশের উন্নতি করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাই তারা দুঃস্বহ এই যন্তনা থেকে মুক্তি পেতে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ভুক্তভোগি শিক্ষকরা জানিয়েছেন, এমপিও পাওয়ার দাবি তুলে ধরে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। আদালত বেতন দেওয়ার আদেশ দিলেও তা গুরুত্ব দিচ্ছে না ডিজি। দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির এই সময়ে বেতন না পেয়ে তারা খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছেন।
বিস্তারিত আসছে....