‘ডিজিটাল নেশনস’ অ্যাওয়ার্ড পেল বাংলালিংকের মাইবিএল সুপার অ্যাপ- ছবি মুক্ত প্রভাত
আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম থেকে সম্মানজনক আরেকটি পুরস্কার পেয়েছে দেশের উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক। জিএসএমএ’র এম৩৬০ এশিয়া প্যাসিফিক অনুষ্ঠানে ‘মাইবিএল সুপার অ্যাপ: রেভ্যুলুশনাইজিং হেলথকেয়ার ইন রুরাল বাংলাদেশ’ ক্যাম্পেইনের জন্য ‘এক্সিলেন্স ইন ডিজিটাল ইনক্লুশন অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করে বাংলালিংক।
দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য জিএসএমএ’র বার্ষিক ফ্ল্যাগশিপ আয়োজন ‘এম৩৬০ এপিএসি ডিজিটাল নেশনস অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেয়া হয়। গত ১ অক্টোবর বাংলালিংকের মূল প্রতিষ্ঠান ভিওনের গ্রুপ ডিরেক্টর অব স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড কমিউনিকেশনস হান্দে আসিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে অ্যাওয়ার্ডটি গ্রহণ করেন ।
উল্লেখ্য, ‘ডিজিটাল নেশনস অ্যাওয়ার্ড’ মোবাইল প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে ডিজিটাল রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান সমূহের অবদানের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। এবার প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামসহ ১১টি দেশ থেকে প্রকল্প জমা নেয়া হয়।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে বাংলালিংক এর মাইবিএল সুপার অ্যাপের জন্য সম্মানজনক এ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে। মাইবিএল অ্যাপ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কাছে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা সেবা পৌঁছে দিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে, যেখানে আগে চিকিৎসা সেবা ব্যয়সাধ্য ও অপ্রতুল ছিল।
দেশের বেশিরভাগ মানুষ গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করেন এবং উচ্চব্যয় ও পরিবহন জনিত অসুবিধার কারণে জনসংখ্যার ৫৮ শতাংশ মানুষ চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকেন। এক্ষেত্রে, চিকিৎসা সেবাকে সাশ্রয়ী ও আগের চেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে মাইবিএল সুপার অ্যাপের উদ্ভাবনী মডিউল। এ অ্যাপের মাধ্যমে এ বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭৮ লাখ সক্রিয় ব্যবহারকারীকে সেবা প্রদান করা হয়েছে।
এর আগে, বাংলালিংক ২০২৩ সালে বাংলাদেশ সাসটেইনেবিলিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডসে ডিজাস্টার রেসপন্স ক্যাটাগরিতে ‘সাসটেইনেবিলিটি এক্সিলেন্স ইনিশিয়েটিভ’ বিভাগে পুরস্কার অর্জন করে। ঘূর্ণিঝড় নিয়ে অগ্রিম সতর্কতায় ‘মোখা’ ঘূর্ণিঝড়ের সময় মাইবিএল সুপার অ্যাপে আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা সংযুক্ত করা হয়।
অ্যাওয়ার্ড অর্জন নিয়ে বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তৈমুর রহমান বলেন, “সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নে এবং দেশে ডিজিটাল বিভাজন দূর করতে প্রয়োজনীয় সমাধান নিয়ে আসার ক্ষেত্রে বাংলালিংকে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে বাংলালিংক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের মানুষের জন্য টেকসই ডিজিটাল সমাধান নিয়ে আসতে নিরলস কাজ করে যাবে; যেনো আমরা আমাদের গ্রাহকদের জীবনে নতুন মাত্রা যুক্ত করতে পারি এবং তাদের অভিজ্ঞতাকে স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করে তুলতে পারি।”