খবরটি শুনে আপনি খুশিতে অট্ট হাসি দিতে পারেন। আবার আপনার বুকের গহিনে মোচরও দিতে পারে। সে যাই হোক না কেনো প্রসঙ্গটা সাকিব আল হাসানের বিদায় নিয়ে। তার আগে ক্রিকেট বিশ্বের কিংবদন্তি কিছু খেলোয়ারের বিদায়ের কথা স্মরণ করা যাক।
ক্রিকেটের বরপূত্র শচীন টেন্ডুলকার
২০১৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন ক্রিকেটের বরপূত্র শচীন টেন্ডুলকার। মুম্বাই শহরের ওয়াংকেড়ে স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইউন্ডিজের বিরুদ্ধে ২০০তম টেস্ট জয়লাভ করে তিনি অবসর নেন ঢাকঢোল পিটিয়ে। বিভিন্নভাবে তাকে সংবর্ধিত করা হয়েছে। হবে নাইবা কেন। ক্রিকেট ইতিহাসে যে কয়টি নাম রেকর্ড খচিত হয়ে আছে তার মধ্যে অন্যতম শচিন টেন্ডুলকার। ভারত যেমন তার কাছ থেকে সেরাটা নিয়েছে—তেমনি বিদায় বেলায়ও প্রাপ্য সম্মান দিয়ে বিদায় জানিয়েছে।
বিশ্বক্রিকেটর কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের রাজসিক বিদায়
রাজসিক বিদায় শুধু শচিন টেন্ডুলকারের বেলায় হয়েছে এমন নয়। অবসরের পর একই রকম বর্নাঢ্য আয়োজনে বিদায় নিয়েছেন গিলক্রিষ্ট, মুরলি ধরণ, সেন ওয়ানরা। কেবল বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ভিন্ন সব তরিকা দেখা যাচ্ছে গোড়া থেকেই।
ক্রিকেট ইতিহাসে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তানের খেলোয়ারদের কাছ থেকে সেরাটা নিয়েছে সেসব দেশের ক্রিকেট বোর্ড। ঔষধি ও উপকারি নিমগাছ যেমন ছাল বাকল পাতা এমন কি প্রাণ উজার করে প্রকৃতির উকার করে। তেমনি মাশরাফি, হাবিবুল বাশার, মোহাম্মদ রফিক, জাভেদ ওমর বেলিম, হালের মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ, সাকিব, তামিম মুশফিরাও সে ভাবেই বাংলাদেশ ক্রিকেটে নিজেদের উজার করে দিতে চেয়েছিলেন। চেষ্টাও করেছেন। কেবল তা নিতে পারেনি দুর্নীতি পরায়ণ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি।
একটু পেছনে ফিরলে মাশরাফি বিন মর্তুজা টেস্ট ক্রিকেট থেকে এখনো পর্যন্ত অবসর ঘোষণা করেননি। আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে সে দেশে গিয়ে টি-টোয়িন্টে ক্রিকেটকে বিদায় জানান। সাকিব আল হাসানও কদিন আগেই ভারতে টেস্ট সিরিজ চলাকালীন সময় অবসরের ঘোষনা দিয়েছেন।
পাঠক হিসেবে আপনি যদি প্রশ্ন রাখেন— এসব ক্রিকেটিও বীরদের অবসরকে কেন রাঙ্গাতে পারছে না বিসিবি। উত্তরটা হয়তো হবে— রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে নানাভাবে চাপে ফেলে একটা মহল তারকা ক্রিকেটারদের অবসর নিতে বাধ্য করছেন। আবার উত্তরটা এমন নাও হতে পারে। উত্তর যাইহোক না কেন বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটারদের অবসর বিদেশের মাটিতে এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই নিতে হচ্ছে বা বাধ্য করা হচ্ছে।
সাকিবকে ব্যাট উপহার দিয়েছেন ভিরাট কোহলি
গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে তখনো কানপুর টেস্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শুরু হয়নি। এ সময় বিরাট কোহলি ড্রেসিংরুম থেকে নিজের ব্যাট নিয়ে বেরিয়ে এলেন দুই দলের ক্রিকেটারদের জটলায়। বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের মধ্য থেকে সাকিব আল হাসানকে খুঁজে বের করে তাঁকে অবাক করে হাতে ধরিয়ে দিলেন ‘এমআরএফ’ ব্যাট।
উপহার হাতে পেয়ে সাকিব হয়তো একটু অবাকই হলেন। পরে সাকিবের কাঁধে হাত রেখে কোহলিকে কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা যায়। এরপর ২২ গজে দীর্ঘদিনের প্রতিপক্ষের সঙ্গে কোহলিকে হাসাহাসি করতে দেখা যায়। পুরস্কার বিতরণ শেষে দুজনই হারিয়ে যান দুই ড্রেসিংরুমে।