গত ২১ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৯ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। আগস্ট মাসের ধারাবাহিকতা রয়েছে চলতি মাসেও। সেপ্টেম্বরের তিন সপ্তাহে রেমিটেন্স এসেছে ১৩৬ কোটি ৪২ লাখ মার্কিন ডলার।
প্রতি ডলার ১২০ টাকা হলে বাংলাদেশী টাকায় ১৯৬১০ কোটি টাকার বেশি।
আজ রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, চলতি মাস সেপ্টেম্বরের প্রথম ২১ দিনে ১৩৬ কোটি ৪২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাঙালিরা । এখন প্রতিদিন রেমিটেন্স আসছে সাত কোটি আশি লাখ ডলার করে। রেমিটেন্স আসার এই ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে চলতি মাসের প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স দেশের রিজার্ভের যুক্ত হবে।
সূত্র বলছে, গত ২১ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪৮ কোটি ৭ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ছয় কোটি আটানব্বই লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১০৭ কোটি ৯৬ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং বিদেশী ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে মার্কিন ডলার রেমিটেন্স।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, রেমিট্যান্স আশার গতি ভালো হয়েছে চলতি মাস থেকেই। রিভিটান সরকার এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে এ মাসে রেমিটেন্স দেশে আসবে। সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে বৈধ পথে রেমিটেন্স আসার প্রবণতা বেড়েছে। এছাড়া ডলারের দর বৃদ্ধিতে হুন্ডি থেকেও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন প্রবাসীরা। ফলে বেড়েছে রেমিটেন্স।
২০২২ সালের জুলাই মাসে দেশের ইতিহাসে একক মাসের সর্বোচ্চ ২৬০ কোটি ডলার রেমিটেন্স এসেছিল।
এছাড়া বছরভিত্তিকভাবে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স আসে ২০২০-২১ অর্থবছরে। ওই অর্থবছরে ২৪.৭৮ বিলিয়ন যা ডলারে ২৪৭৮ কোটি ডলার। আর চলতি বছরের জুন মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে মোট ২৫৪ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। বাংলাদেশী মুদ্রায় যা ২৯ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা। এটি এখন পর্যন্ত দেশে আসা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়।