
আ'লীগ নেতাকর্মীর নামে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা
ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু ও ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরেরসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে ঝালকাঠির দ্রুত বিচার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি বিজয় কুমার সরকার ওরফে কেশব সুমন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর এই দুই নেতার বিরুদ্ধে ঝালকাঠিতে প্রথম কোন মামলা হলো।
আদালতের বিচারক মো. মনিরুজ্জামান মামলাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী জিয়াউর রহমান। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৫০/৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ মামলায় আরও আসামি করা হয়েছে ঝালকাঠি পৌরসভার সাবেক মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার, সাবেক মেয়র আফজাল হোসেন, সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর একান্ত সচিব
ও ভায়রা ফখরুল মজিদ কিরন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরুন কর্মকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল মাহমুদ, জেলা যুবলীগের আহবায়ক রেজাউল করিম জাকির, যুগ্ম আহবায়ক কামাল শরীফ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ মধু, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম পারভেজসহ ৬২জনকে।
আরজিতে বাদী দাবী করেন, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র জনতার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে ১ ও ২ নম্বর আসামি আমির হোসেন আমু ও শাহজাহান ওমরের নির্দেশে মারাত্মক প্রাণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আসামিরা গুলি করে।
পরে হাতবোমা ফাটিয়ে ও লাঠিসোটা-জিআই পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আসামিরা শতাধিক ছাত্র জনতাকে আহত করে। পরে আহতরা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানে আসামিরা গিয়ে তাঁদের পিটিয়ে তাড়িয়ে দেয়।
এ বিষয়ে মামলার আইনজীবী আল মাহাবুব সুমন বলেন, মামলাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওসি তদন্ত করে মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করলে বাদী ন্যায় বিচার পাবে।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, মামলার আদেশ ও কপি আদালত থেকে এখনো আমার কাছে পৌছায়নি। কপি হাতে পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।