• হাসান মাহমুদের প্রথম ৫ উইকেট
অবশেষে পাকিস্তানকে ১৭২ রানে আটকালো হাসান-নাহিদরা। জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৮৪ রান। নিশ্চিত হতে একটু সময় লাগল। আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউ চাইল পাকিস্তান। তাতে হাসানের প্রথমবার ইনিংসে ৫ উইকেট উদ্যাপনই যা বিলম্বিত হল। শেষ পর্যন্ত তৃতীয় আম্পায়ারও নিশ্চিত করলেন, হাসানের বলে মিরাজের ক্যাচ হয়েছেন মীর হামজা (১০ বলে ৪)।
১২ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিনের শেষ বিকালে খেলতে নেমে জোড়া উইকেট হারিয়েছিল পাকিস্তান। চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে বাংলাদেশি পেসারদের তোপের মুখে পড়ে পাক ব্যাটাররা। ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে থাকে তারা।
একাই ৩ উইকেট নিয়ে ধস নামান নাহিদ রানা। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই দ্রুত আরও ৪ উইকেট তুলে নিয়ে স্বাগতিকদের ১৭২ রানে অলআউট করেছে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য টাইগারদের প্রয়োজন ১৮৫ রান।
৬ বলে ৬ রানে অপরাজিত থেকে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে সায়েম আয়ুব। তার সঙ্গে ক্রিজে আসেন পাক অধিনায়ক শান মাসুদ। এই দুই ব্যাটার মিলে ৩৮ রানের জুটি গড়েন। তবে দলীয় ৪৭ রানে ৩৫ বলে ২০ রান করা আয়ুবকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন তাসকিন আহমেদ।
এরপর পাকিস্তান শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন পেসার নাহিদ রানা। শান মাসুদ ৩৪ বলে ২৮ ও বাবর আজম ১৮ বলে ১১ রান করে আউট হন। এই দুই ব্যাটারের বিদায়ে বেশ চাপে পড়ে পাকিস্তান।
সেই চাপ সামাল দেওয়ার আগে ফের আঘাত হানেন নাহিদ। দলীয় ৮১ রানে ১০ বলে ২ রান করা সৌদ শাকিলকে সাজঘরে ফেরান এই টাইগার পেসার। এরপর ক্রিজে আসা সালমান আঘাকে সঙ্গে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।
কিছুটা আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন রিজওয়ান। তবে দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই বোলিংয়ে তাকে সাজঘরে ফেরান হাসান মাহমুদ। দলীয় ১৩৬ রানে ৭৩ বলে ৪৩ রান করে আউট হন রিজওয়ান। তার বিদায়ের পর এসেই সাজঘরে ফিরে যান মোহাম্মদ আলি। পর পর দুই বলে এই দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি করলেও ব্যর্থ হন হাসান।
এরপর ক্রিজে এসে দ্রুতই ফিরে যান আবরার আহমেদ। তবে একপ্রান্তে লড়াই চালিয়ে যান সালমান। তবে শেষ ব্যাটার হিসেবে মীর হামজা আউট হলে ৪৬ ওভার বলে ১৭২ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। ৭১ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন সালমান। বাংলাদেশের পক্ষে হাসান ৫টি ও নাহিদ নেন ৪টি উইকেট।