সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে পিকনিক করতে গিয়ে বড়াল নদীতে ডুবে নিখোঁজ কলেজ ছাত্র সোয়াইবের মরদেহ ৫ দিন পর রোববার রাতে উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ২৮ আগষ্ট বুধবার বন্ধুদের সঙ্গে নৌকায় রাউতারা স্লুইচ গেটে পিকনিক করতে যান। তিনি উল্লাপাড়া পৌরসভার ঘোষগাঁতী মহল্লার আব্দুস সালামের একমাত্র ছেলে। পড়ালেখা করতেন ঢাকার ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজে।
রোববার রাতে দুঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে বাঘাবাড়ি (শাহজাদপুর) নৌবন্দরের পাশে চয়ড়া নামক স্থানে সোয়াইবের লাশ ভেসে ওঠে। খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশ রাত ১০ টার দিকে নৌ পুলিশের সহযোগিতায় অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
এর আগে রাজশাহী থেকে আনা ডুবুরি দল বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত নদীতে সোয়াইবকে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হবার পর রাজশাহী ফিরে যায়।
সোয়াইবের বন্ধুরা জানান, ঘটনার সময় রাফি, মওদুদ, মাসুম ও সোয়াইব কৌতুহল বশতঃ নদীতে গোসল করতে নেমে ডুবে যায়। স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় ৩ বন্ধু তীরে উঠতে পারলেও সোয়াইব লিখোঁজ হয়।
শাহজাদপুর থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর জানান, সোয়াইবের লাশ প্রায় পচেগলে গেছে। তাকে চেনা কঠিন। সোয়াইবের বাবা-মা তাদের সন্তানের পরনের জামা-প্যান্ট দেখে সনাক্ত করেন।
এদিকে রোববার রাতে সোয়াইবের লাশ তার উল্লাপাড়ায় বাসায় আনা হলে সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়। তার স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে সেখানকার পরিবেশ। জানাজা শেষে রোববার রাতেই বেলকুচি উপজেলার শালদিয়ার গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।