মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার তোপের মুখে পদত্যাগ করলেন মোড়দহ গাড়াবাড়ি দাখিল মাদ্রাসার সুপার নুরুল আলম আনছারী।
ছাত্র-জনতা এই সুপারের বিরুদ্ধে দূনীতি, অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ এনে তার পদত্যাগ দাবি করেন।
তবে সুপার নুরুল আলম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং ছাত্ররা তাকে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্র লিখতে বাধ্য করেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে ছাত্র-জনতা উক্ত মাদ্রাসার বর্তমান পরিচালনা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট সুপার নুরুল আলম আনছারী ও সহসুপার আব্দুস সামাদ আজাদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমম্বয়কদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, এই সুপার তার সহকারী সুপার আব্দুস সামাদকে নিয়ে মাদ্রাসার বাৎসরিক জমি ও পুকুর লিজ, বালু বিক্রি, গাছ বিক্রি, ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়া বেতনের টাকা, প্রতিষ্ঠানের পুরাতন ঘর বিক্রির টাকা বেশ কয়েক বছর ধরে আত্মসাৎ করে আসছেন।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গেও সরাসরি সম্পৃক্ত এই সুপার। সুপার নুরুল দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে বেশিক্ষন থাকেন না।
গুরুত্বপূর্ন ক্লাস ফেলে তিনি বেলা ১টার মধ্যে মাদ্রাসা ত্যাগ করেন। অভিযোগ পত্রে অবিলম্বে এই সুপার ও সহকারী সুপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানানো হয়। অভিযোগপত্রে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সমম্বয়ক কমিটির পক্ষে রমজান আলী, সাকিবুল হাসান, ইমরান সরকারসহ বেশ কয়েক জন স্বাক্ষর করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সুপার নুরুল আলম আনছারী জানান, তার বিরুদ্ধে ছাত্র ও স্থানীয় লোকজনের আনা অভিযোগগুলো সবই মিথ্যা। ষড়যন্ত্র করে তাকে প্রতিষ্ঠান থেকে বিতারিত করার চেষ্টা চলছে। তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেননি। জোর করে পদত্যাগ পত্র লিখতে বাধ্য করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির বর্তমান সভাপতির দায়িত্বে থাকা উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিযোগ পত্র প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেন। তিনি দ্রুত ওই প্রতিষ্ঠানের সুপার ও সহ সুপারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্তের ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।