
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় সরকারী সার আত্মসাতের ঘটনায় উপজেলার আওড়াবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিঠু সিকদারকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার মামলার ধার্য তারিখে উপস্থিত হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল মান্নান রসুল।
উল্লেখ্য, কাঠালিয়া উপজেলার ৬নং আওরাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউন ও ইউনিয়ন যুবলীগ নেতার বাসা থেকে কৃষি প্রণোদনার ১৯ বস্তা সার ও বীজ জব্দের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মিঠু সিকদারসহ তিনজনকে আসামী করে গত ৫ জুন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ইমরান বিন ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
মামলায় অন্য আসামীরা হলেন ইউপি সদস্য মো. হেলাল সিকদার ও আওরাবুনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক হাওলাদারকে আসামী করে থানায় এ মামলাটি করা হয়।
মামলার বিবরণে জানাগেছে, খরিপ মৌসুমে উফশী আউশ ধান আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এ বছরের এপ্রিল মাসে কৃষকদের মাঝে বিনামুল্যে রাসায়নিক সার ও আউশ ধানের বীজ বিতরণ করা হয়।
উপজেলার ৩৭শ ৫০ জন কৃষকের মাঝে ৫ কেজি আউশ ধান বীজ, ১০ কেজি পিএসপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়। আওরাবুনিয়া ইউনিয়নে ৬শ ২৫ জন কৃষকের জন্যও এ সার ও বীজ বরাদ্দ হয়।
কিন্তু বিতরণের দুই মাস পর গত ৪জুন দুপুরে আওরাবুনিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার মো. হেলাল উদ্দিন অটো রিকশা যোগে পরিষদের গোডাউন থেকে সার ও বীজ গোপনে স্থানান্তর করছিল। স্থানীয় লোকজন তা দেখে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানায়।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নেছার উদ্দিন আওরাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে ৬ বস্তা ব্রী-ধান ৪৮ জব্দ করে। তার সূত্রধরে পরে স্থানীয় সাতানী বাজারের যুবলীগ নেতা দীপক হাওলাদারের বাসা থেকে ৪৮ ও ৯৮ জাতের ৬ বস্তা ব্রী-ধান ও ৭ বস্তা রাসায়নিক সার জব্দ করা হয়।