
হাওর অঞ্চলের মানুষের জীবন সংগ্রাম চিরচেনা। বর্ষাকাল এলেই লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
হাওরের বড় বড় ঢেউয়ের আঘাতে বসতবাড়ি ভেঙে যায়। হাওরের যোগাযোগের কাঁচা ও পাকা বেশির ভাগ নিচু
সড়কগুলো পানির নিচে থাকে। কাঠের তৈরি ছোট-বড় ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে হাওরের মানুষকে যাতায়াত
করতে হয়। হাওরবাসীকে বছরের কয়েক মাস পানিবন্দি থাকতে হয়। হাওরের পানিকে সাথে নিয়ে মানুষের জীবন
যাপনের কয়েকটি আলোকচিত্র সম্প্রতি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর , অষ্টগ্রাম, মিঠামইন, ইটনা হাওর
অঞ্চল থেকে তোলা হয়েছে।
ছবির বর্ণনা:
১. হাওরের অথৈ জল। যেদিকে তাকানো যায় সেদিকেই বিস্তীর্ণ জলরাশি।
২. হাওরের জলে একটা হিজল গাছ।
৩. নৌকা থেকে দূরে একটা গ্রাম চোখে পড়লো।
৪. একটা যাত্রীবাহী ট্রলার যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।
৫.নদী তীরের অন্যান্য গ্রামের মতোই সাধারণ চিত্র।
৬. বয়স্ক, নারী ও পুরুষ হাওর তীরের সকলে হাওরের পানিতে নিজের কাজ সেড়ে নিচ্ছেন।
৭. চারদিকে হাওরের পানি মাঝে একটা বাড়ি। বিভিন্নভাবে বাড়িটিকে ভাঙন থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করা
হচ্ছে।
৮. জেলেরা মাছ ধরার জন্য অভীষ্ট লক্ষে যাচ্ছে ।
৯.জেলেরা নিজ ট্রলারে মাছ ধরে ব্যস্ত।
১০. হাওরের নতুন পানিতে শিশু-কিশোর বড়শি ফেলে মাছ ধরায়রত।
১২. দূরে একটা ইটভাটার চিমনি ও একটা বাড়ি দেখা যায়। ইটভাটাকে কেন্দ্র করেই বাড়িটি নির্মাণ করা
হয়েছে।
১৩. বিদ্যুতের খুঁটি ও তার হাওরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়
এনেছে।
১৪. বিআইডব্লিউটিএ অষ্টগ্রাম লঞ্চ ঘাট। অষ্টগ্রামের সাধারণ মানুষ এই ঘাট ব্যবহার করেই বাজিতপুর,
ভৈরব , নিকলী যাতায়াত করেন।
১৫. হাওরের মানুষের জীবনে এসেছে পরিবর্তন। হাওর কেন্দ্রিক পর্যটন গড়ে উঠছে। চা -নাস্তা করার জন্য
গড়ে উঠেছে টং ঘর।
১৬. পেছনের নোঙ্গর করা ট্রলারগুলো চলছে সংস্কার কাজ। সামনের নৌকা নিয়ে পর্যটক এসেছেন।