যমুনা নদীতে পানি কিছুটা কমলেও উল্লাপাড়ার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন হয়নি। ইতোমধ্যে উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর উধুনিয়া, বড়পাঙ্গাসী, দুর্গানগর ও বাঙ্গলা ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।
এসব এলাকার রাস্তা ঘাট ডুবে গেছে। বন্যা কবলিত এলাকার লোকজনের চলাচলের একমাত্র বাহন এখন নৌকা। এসব ইউনিয়নের ৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি ঢুকেছে।
শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে আসছে এবং ক্লাস করছে। ডুবে গেছে ১০টি কমিউনিটি ক্লিনিক। বিশেষ করে লাহিড়ী মোহনপুর এলাকার কৃষকেরা তাদের গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
ফসলের মাঠ ডুবে যাওযায় গরু বাছুরগুলোকে বাড়ির উচ্চস্থানে উঠিয়ে শুধু খড় ও ভূষি খাইয়ে প্রতিপালন করছেন বলে জানান কালিয়াকৈর গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম, আব্দুর রহিম ও কুদ্দুস আলী।
স্কুল শিক্ষার্থী ঈশিতা, সুমাইয়া জানায়, বষায় রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। ফলে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে এখন নৌকা নিয়ে স্কুলে যাওয়া-আসা করতে হচ্ছে।
কালিয়াকৈড় দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাকিবুল ইসলাম জানান, বর্ষার পানিতে রাস্তা ঘাট তলিয়ে গেছে। এখন চলাচলের একমাত্র বাহন নৌকা।
.
বর্তমানে স্কুলে যাওয়া আসা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। নৌকার জন্য বেশ অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদের। ফলে সময়মতো স্কুলে আসা কঠিন হয়ে পড়েছে। ছাত্ররাও ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে আসছে।
উল্লাপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সানোয়ার হোসেন জানান, বন্যা কবলিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণকে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসা যাওয়া ও শ্রেণী পাঠধানে বিশেষ নজরদারী করতে বলা হয়েছে।
একই সাথে শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের অভিভাবকগণকে স্কুলে আসা বাধ্যমূলক (সাময়িকভাবে) করা হয়েছে। বেশি সমস্যা হলে প্রাক-প্রাথমিক শাখার শিক্ষার্থীদের আপাততঃ ক্লাস বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন শিক্ষা কর্মকর্তা।