গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ছাত্রী হলে চুরি করতে গিয়ে আটক হয়েছে এক চোর। এ ঘটনায় পলাতক আছে আরো একজন। শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রেহানা হলে চুরি করতে আসে এক ব্যক্তি। হলে ওড়না দিয়ে মুখ পেচিয়ে সিড়ি থেকে নামার সময় সন্দেহ করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় সেই ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর সময় হলে দায়িত্বরত কর্মচারীরা তাকে আটক করে। আটককৃত ঐ চোরের নাম রাকিব মিয়া। তার বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাসপুর ইউনিয়নে। এ সময় তার সহযোগী পালিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগী চোরের নাম বিজু বলে জানায় আটককৃত চোর রাকিব। পালিয়ে যাওয়া বিজুর বাড়িও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাসপুরে। জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঈদের ছুটি চলমান থাকায় শিক্ষার্থীরা হলে নেই। তবে বিদেশী শিক্ষার্থীরা এখনো হলে অবস্থান করছে। ফলে হল বন্ধ না থাকলেও এক প্রকার শিক্ষার্থীশূন্য অবস্থায় রয়েছে। প্রায় ছাত্রীশূন্য শেখ রেহানা হলে প্রবেশ করেন রাকিব। এ সময়ে উপস্থিত কয়েকজন ছাত্রী বিষয়টি টের পেলে নিজেকে বাঁচাতে গোসলখানায় থাকা এক ছাত্রীর জামা পরে নেয় রাকিব। পরে দৌড়ে পালাতে গেলে নিরাপত্তা কর্মীরা ছাত্রীদের সহযোগিতায় তাকে আটক করে। রাকিব আটক হলেও তার সহযোগী বিজু পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে আটককৃত চোর রাকিবকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি প্রক্টর ড. মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, শেখ রেহানা হলে চুরি করতে এসে একজন আটক হয়েছে জেনেছি। আমি নিরাপত্তা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সেখানে যেতে বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রসঙ্গত, ২৪ এপ্রিল মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ থেকে এসি চুরির চেষ্টা করে একদল দুর্বৃত্ত। এর আগে করোনাকালীন ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হল বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল থেকে ও তারও আগে ঈদের ছুটিসহ বিভিন্ন সময় লাইব্রেরি থেকে কম্পিউটার চুরি,বিভাগ থেকে কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটেছে।