
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও টানা ৩দিনের প্রবল বর্ষণে ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কুড়িগ্রামের চিলমারী ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়ে শত শত মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে।
উপজেলার অষ্টমিরচর ইউনিয়নের মুদাফৎ কালিকাপুর, ডাটিয়ার চর, নটারকান্দি, খোর্দবাসপাতারি, নয়ারহাট ইউনিয়নের বজরাদিয়ারখাতা, ফেইচকা, দক্ষিনখাউরিয়া, গয়নারপোটল, চিলমারী ইউনিয়নের করাইবরিশাল, বৈলমনদিয়ারখাতা, শাখাহাতি, রমনা ইউনিয়নের পাত্রখাতা, টোনগ্রাম, গুরাতিপাড়া, উত্তর রমনা, থানাহাট ইউনিয়নের রাজারভিটা, পুটিমারী কাজলডাঙ্গা, হাটিথানা, রানিগঞ্জ ইউনিয়নের কাচকোল, কোদালধোয়া এলাকা প্লাবিত হয়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে এবং হাজার হাজার একর জমির ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
মুদাফৎ কালিকাপুর এলাকার তোতামিয়া জানান, ঘরে হাটু পরিমান পানি ওঠায় ছেলে-মেয়ে, গরু-বাচুর নিয়ে বড় কষ্টে আছি। উঁচু স্থানে আশ্রয়ের জন্য ছোটা ছুটি করছি। ফৈচকের চর এলাকার আবু সাইদ জানান, বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনায় গরু-বাছুর ও ধান চাল নিয়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নেওয়ার জন্য যাচ্ছি।
পাউবো জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় ৫৯ সে.মি. পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ২৬ সে.মি. উপর দিয়ে পনি প্রবাহিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নিবাহী অফিসার মোঃ মিনহাজুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, নয়ারহাট, অষ্টমিরচর ও চিলমারী ইউনিয়নের বন্যা কবলিত লোকজনের জন্য সরকারী ভাবে ৬ মে.টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় আমাদের ব্যপক প্রস্তুতি রয়েছে।