
নওগাঁর বদলগাছীতে মশার তাড়ানোর কয়েলের আগুনে ঘরবাড়ি ,গরু, আসবাবপত্র, ঘরে রাখা খাদ্য সামগ্রী পুড়ে ছাই হয়েছে। শনিবার ভোর রাতে বদলগাছী উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের নালুকাবাড়ী গুচ্ছগ্রামে আলেম উদ্দিনের (৬৫)বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে আলেম উদ্দিন নিজেও দগ্ধ হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, গতকাল ২৮শে জুন শুক্রবার সন্ধ্যায় আলেম উদ্দিন ৩টি গরু রেখে টিন সেট গোয়ালঘরে তালা দেন। ওই সময় নিরাপদ স্থানে একটি মশার কয়েল জ্বালিয়ে দিয়ে পাশেই ঘুমিয়ে যান।
শনিবার ভোর রাত আনুঃ ৩টার দিকে গরুর চিৎকারে বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা ঘুম থেকে উঠে দেখেন গোয়াল ঘর সহ পুরো বাড়িতে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে বাড়ির আসবাবপত্র,কাপড়সহ ১টি গরু গোয়াল ঘরেই পুড়ে মারা যায় এবং বাড়ির মালিক আলেম উদ্দিন (৬৫)সহ আরো ২টি গরু দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
খবরপেয়ে উপজেলা প্রাণীসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের একদল চিকিৎসক আগুনে দগ্ধ গরুদের চিকিৎসা ও পরামর্শ প্রদান করছে। খবরপেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন।
স্থানীয় গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা মোস্তফা জানান, গাভীর পেটে বাচ্চা ছিল। তাদের সম্বল বলতে বাড়ি-ঘর ও গরু গুলোই ছিল। সব শেষ হয়ে গেল। আগুনে তারা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন। এ ঘটনায় তাদের পরিবারে অন্তত ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
লালুকাবাড়ি গুচ্ছগ্রামের সভাপতি আবু বক্কর জানান, এই গুচ্ছগ্রামে সকল অসহায় দরিদ্র লোকজন বসবাস করে। এদের কোন জমিজমা নেই। ধারদেনা, বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণনিয়ে গরু ও ঘরের আসবাবপত্র তৈরি করছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আলেম উদ্দিনের সব শেষ হয়ে গেছে। মানুষের বাড়িতে কাজ করে আর ঋন নিয়ে গরু পালন করেই সংসার চালাতো।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (চ.দা) মো. কামরুল হাসান সোহাগ মোবাইলে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েছি। পিআইও অফিস থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে নগদ ২ হাজার টাকা ও শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ঐ পরিবারকে ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।