
তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে বড় বন্যার পূর্বাভাস
ভারতের সিকিমে ভারী বৃষ্টির প্রভাবে বেড়েছে তিস্তা নদীর পানি। তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতিমধ্যে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে করে লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এবং চরাঞ্চল সহ ফসলি জমি তলিয়ে যাচ্ছে।
আজ শনিবার (১৫ জুন) সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে কাউনিয়া ও ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ছিল বিপদসীমার মাত্র তিন সেন্টিমিটার নিচে একদিনের ব্যবধানে তা বেড়ে দাড়িয়েছে ৮০ মিলিমিটার। এসব পয়েন্ট দিয়েবিপদসীমার খুব কাছাকাছি পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
সবকটি পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়ে লালমনিরহাট জেলার আওতাধীন উপজেলা কালমাটি, খুনিয়াগাছ, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সর্দাারপাড়া, গোবর্ধন, কালিগঞ্জের ভোটমারী এবং হাতিবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, পাটিকাপাড়া, সিংগীমারী এবং সিন্দুর্না ইউনিয়ন এলাকার শতাধিক পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে।
প্রায় দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে জীবনযাপন করছে বলে জানা যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবোর) জানায়- ভারতের উত্তর পূর্বঅঞ্চল রাজ্যে সিকিমে বেশ কিছুদিন ধরে ভারী বর্ষনের প্রভাবে বাংলাদেশেরে এসব অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে প্লাবিত এলাকার সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারনা করছে।
বেশকয়েকটি উপজেলাবাসীর সাথে কথা বললে তারা জানায়, গত ১৪ জুন শুক্রবার সকাল থেকে তিস্তার পানি একটু একটু ক্রমশই বাড়ছে। এভাবে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলে বড় বন্যাও হতে পারে। বড়বন্যার প্রভাবে বর্তমানে নদীর তীরে বসবাসকারী বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
সেই সাথে আবাদী জমির শাকসবজি, চীনাবাদাম সহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। আশঙ্কাজনকভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়া চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে এসব বাসিন্দরা। ঈদের আগে যতি ঘরবাড়ি প্লাবিত হয় তাহলে দু:খের শেষ থাকবে না বলে আক্ষেপ করেন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামবাসীরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার জানান,- আজ (শনিবার) থেকে আগামী ৫ দিনে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারী থেকে ভারী এবং কিছু জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে দেশে উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ইত্যাদি নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাবে এবং তিস্তার কিছু পয়েন্টে পানি বিপদসীমা প্রায় ছুই ছুই। এভাবে পানি বৃদ্ধি হলে বড়বন্যাও হতে পারে দেশে।
———————