
গুরুদাসপুরে চাহিদার দ্বিগুন পশু কুরবানীর জন্য প্রস্তত
মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা উপলক্ষে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলাতে জমজমাট কুরবানীর পশুর হাট। ব্যাক্তি,স্থানীয় ও ব্যপারীদের চাপ বাড়ছে হাটগুলোতে। স্থায়ী হাট ছাড়াও বসেছে অস্থায়ী হাট। এবছর গুরুদাসপুরে চাহিদা দ্বিগুন পশু লালন-পালন করেছেন খামারীরা। উবৃত্ত্ব পশু স্থানীয় চাহিদা পুরণ শেষে চলে যাচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।
উপজেলা প্রানিসম্পদ কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, গুরুদাসপুরে এ বছর ২ হাজার ৬৬৯ জন খামারী ৩৪ হাজার ২০৮টি গরু, ৮৫৪ টি মহিষ, ৫৬ হাজার ৭৪৬টি ছাগল, ভেড়া ৬ হাজার ৫২টি, অন্যান্য (গাড়ল, দুম্বা ইত্যাদি) ২৯ টিসহ মোট ৯৭ হাজার ৮৮৯ পশু টি কুরবানীর পশু মোটা-তাজাকরন করে প্রস্তুত করেছেন। এর বিপরীতে এ উপজেলায় পশুর চাহিদা রয়েছে ৪৮ হাজার ৫২০টি। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ৪৯ হাজার ৩৬৯ টি পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে। উদ্বৃত্ত পশু রাজধানিসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পশুগুলোর আর্থিক মুল্য ধরা হয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা।
উপজেলার চাঁচকৈড় হাটে একটি ষাড় গরু বিক্রি করতে এসেছেন গুরুদাসপুর পৌরসদরের আনন্দ নগর মহল্লার খাজা উল্লাহ। তিনি জানান,এবছর দাম স্বাভাবিক রয়েছে। তাঁর ষাড় গরুটি ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পেরে তিনি খুশি। তার মতো একই মহল্লার আবু সাঈদ,রিপন মন্ডল,ফেরদৌস আলী কাঙ্খিত দামে গরু বিক্রি করেছেন। তাদের সবার অভিযোগ পশু খাদ্য,ওষুধ,শ্রমিকসহ আনুষাঙ্গিক খরচ বাড়লেও আনুপাতিক হারে পশুর দাম বাড়েনি। পশু খাদ্যের দাম কমানোর দাবী তাদের।
একই হাট থেকে ১ লাখ ১৭ হাজার টাকায় একটি মাঝারী আকৃতির গরু কিনেছেন আবু সুফিয়ান। এ দামে গরু কিনতে পেরে খুশি তিনিও। উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন জানান,উপজেলার খামারীরা জেলার সর্বোচ্চ সংখ্যক কুরবানির পশু মোটা-তাজাকরণ শেষে বিক্রি শুরু করেছেন। তার তত্ত্বাবধানে বছরজুড়ে দায়িত্বরত চিকিৎসক, প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত প্যারাভেট ও স্বেচ্ছাসেবীগণ সার্বক্ষনিক খামারীদের পরামর্শ ও সেবা দান করেছেন। এছাড়া উপজেলার চাঁচকৈড়, নাজিরপুর, নয়াবাজার, বিন্যাবাড়ি ও কাছিকাটা হাটে কুরবানির পশুর স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য চিকিৎসা টিম কাজ করছেন।
নাটোর জেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এবছর জেলায় মোট পশুর চাহিদা ২ লাখ ৫২ হাজার ৪২ টি। চাহিদা পুরন করার পর উদ্বৃত্ত থাকছে ২ লাখ ২৬ হাজার ১৮৫ টি। পশুগুলোর আর্থিক মুল্য ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।