
ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে পুলিশের গুলি
ঢাকার বারিধারায় ডিপ্লোম্যাটিক এলাকায় অর্থ্যাৎ ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে ডিউটিরত দুই পুলিশ সদস্যের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। দুই পুলিশ সদস্য হলেন কনস্টেবল কাওছার ও কনস্টেবল মনিরুল হক।
সেখানে ৮ থেকে ৯ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে সহকর্মী মনিরুলের ওপর গুলি ছোড়েন কনস্টেবল কাওছার। এতে ঘটনাস্থলে নিহত হন কনস্টেবল মনিরুল।
ঘটনাটি গত ৮ জুন (শনিবার) রাত ২ টা ২০ মিনিটের দিকে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে ওই ঘটনা ঘটে। তবে কি কারণে সহকর্মীকে গুলি করেছেন কনস্টেবল কাওছার তা এখনো জানা যায় নি।
আজ ৯ জুন (রবিবার) দুপুরে ডিএমপি সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপ্স) ড. খ. মহিদ উৃদ্দিন জানান, মনিরুল নিহতের ঘটনায় তদন্ত চলছে।
কনস্টবেল কাওছারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সে কোনো উত্তর দিতে পারেনি। অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল কাওছার যেখানে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করতো সেখানকার দৈনন্দিন রির্পোট হাতে পেয়েছি। তার ডিউটি রিপোর্টিংয়ে কোনো সমস্যা নেই। ঠিকমতোই সে তার দায়িত্ব পালন করেছে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, রাত ১১ টা ৪৫ মিনিটের দিকে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে তারা দুজন ডিউটিরত ছিল। দুজনের মধ্যে সম্ভবত কথাকাটাকাটি হয়েছিল। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত কনস্টেবল কাওসার গুলি করলে তার সহকর্মী মনিরুল ঘটনাস্থলে মারা যান।
এসময় জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। এ ঘটনার পর কনস্টেবল কাওছার ঘটনাস্থলেরর পাশেই ছুটাছুটি করতে ছিল। পরে তাকে থানায় এনে নিরস্ত্র করা হয়। নিহত মনিরুলের মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
তবে ঘটনাস্থল থেকে ২০ রাউন্ড গুলি ও গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। এ রহস্যজনক ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। খুব শীঘ্রই ঘটনার কারণ সামনে চলে আসবে বলে জানান পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)। তবে দূতাবাসের কনস্টেবলদের ১৬ ঘন্টার নিয়মিত ডিউটি পালন করতে হতো । মানষিক বিষন্নতা থেকে এমন ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হেচ্ছে।