
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালে’ বেসামাল উপকূল; জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা
ঘূর্ণিঝড় রেমাল এখন নিম্নচাপে সৃষ্টি হওয়ায় শনিবার (আজ) দেশের বৃহৎ সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। তারা বলছেন গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
যদি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয় তাহলে এর নাম হবে রেমাল । এটির মানে হলো বালু। যা নামকরণ করণ করেছে আরবদেশ ওমান। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে সারাদেশে এর প্রভাব ব্যাপক প্রভাব পড়বে। এতে করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমানও বাড়তে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
পরিস্থিতি যদি যদি পাল্টে রেমালে পরিণত হয় তাহলে দেশের সংকেতের পরিবর্তন ঘটবে। তবে সংকেত বাড়ার ইঙ্গিত দিলেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবীদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক। আবহাওয়াবিদরা বলছেন আজ রাত শনিবারে গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
আজ রাতে ঘূর্ণিঝড়ের ৬ নম্বর বিশেষ নোটিশে তারা বলছেন পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি পশ্চিমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় থাকা গভীর নিম্নচাপটি উত্তর উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
সাত থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঝড়ের সঙ্গে প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে, ফলে পাহাড়ি অঞ্চলে প্রচুর ভূমিধস হতে পারে। সব কিছু মাথায় রেখে সার্বিক প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি।
চার হাজার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পর্যাপ্ত খাবার ও সরঞ্জাম রয়েছে। অতিরিক্ত প্রয়োজন হলে যেন ঢাকা থেকে সরবরাহ করা যায় সেই প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
পূর্বাভাস অনুসারে আগামীকাল সন্ধ্যায় মূল ঝড়টি উপকূলে আঘাত হানবে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এটি আজ সকাল নয়টায় সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবেন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দিকে অবস্থান করছিল। তবে এটি আরও উত্তর-পূ্র্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
এটির প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি অবসন্থান নিয়ে সাবধানে চলাচল করতে বলো হয়েছে। কোনোাভাবেই যেন সাগরে বিচরণ করা যাবে না বলে সতর্কতা জারি করেছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর।