ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় দুর্র্ধষ ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে। এ সময় ডাকাতের গুলিতে এক কিশোরসহ দুইজন আহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নের চড়াইল গ্রামের মকবুল হাওলাদারের (৭৫) বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাঁঠালিয়া থানার পরিদর্শক তদন্ত সমির কুমার দাস।
গুলিবিদ্ধ হয়ে আহতরা হলেন, চড়াইল গ্রামের মৃত নেহাজ উদ্দিনের ছেলে আ. মজিদ (৬০) ও আবু তাহেরের ছেলে মো. সাইফুল (১২)। তাঁদেরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রথমে পার্শ্ববর্তী পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
পরে সেখান থেকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তারা ভুক্তভোগী মকবুল হাওলাদারের প্রতিবেশী।
ভুক্তভোগী মকবুল হাওলাদারের মেয়ের জামাই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রাত ৩টার দিকে ডাকাতের দল ঘরের পাশের গাছ বেয়ে বাড়ির দ্বিতীয় তলায় প্রবেশ করে। এরপর আমাকে, আমার স্ত্রী ও শ্বশুরকে গামছা দিয়ে হাত-পা বেঁধে পিস্তল ঠেকিয়ে বেধড়ক মারধর করে। তারা সংখ্যায় ৬ জন ছিল।
এদের মধ্যে ৩ জন নিচ তলায় আর ৩ জন ছিল দ্বিতীয় তলায়। ডাকাত দলের একজনের হাতে পিস্তল ছিল অন্যদের সবার হাতে বটি দা, শাবল ছিল। আমরা ডাক চিৎকার দিলে আমাদের গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
তাই ভয়ে চুপচাপ ছিলাম। ডাকাতরা ঘরে থাকা ৩ ভরি স্বর্ণালংকার, ৮ ভরি রুপা ও নগদ ৩০ হাজার টাকা এবং দুটি স্মার্টফোন লুট করে নিয়ে গেছে। ডাকাতরা যাওয়ার সময় আমার মেয়েরা চিৎকার দেয়।
সেই চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাঁদের ধাওয়া দিলে ডাকাতরা এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে প্রতিবেশী মজিদ ও কিশোর সাইফুলের পায়ে গুলি লাগে। পরে স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ আ. মজিদ, কিশোর সাইফুল ও ডাকাতের পিটুনিতে আহত আমার শ্বশুর মকবুল হাওলাদারকে উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) মো. সজীব (৩৫) বলেন, মকবুল হাওলাদারের বাড়িতে রাতে ডাকাতির খবর শুনে সেখানে গিয়ে আহতদের হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ডাকাতরা দুজনের পায়ে গুলি করেছে।
ভান্ডারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তুহিন তালুকদার মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন বলেন, গুলিবিদ্ধ আ. মজিদ ও কিশোর মো. সাইফুলকে পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রথমে ভান্ডারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
পরে সেখান থেকে আজ সকালে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বৃদ্ধ মকবুল হাওলাদারকে চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
কাঁঠালিয়া থানার পরিদর্শক তদন্ত সমির কুমার দাস বলেন, খবর পেয়ে তাঁদের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়। তারা লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।