ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ সুলতান হোসেন খান ও তার উঠান বৈঠকে হামলা গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আরিফুর রহমান খানসহ জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
গত ১৪ মে রাতে এ ঘটনার পর পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। সুলতান হোসেনের ভাই হেমায়েত উদ্দিন খান বাদী হয়ে ঐ রাতেই এ মামলা দায়ের করেন। আইনশৃংখলা বিঘ্নকারী অপরাধের দ্রুত বিচার আইনের ধারায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলো আনারস মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামলীগের সহ সভপাতি খান আরিফুর রহমান, জেলা যুবলীগ আহবায়ক ও কাউন্সিলর রেজাউল করিম জাকির, যুবলীগ নেতা ও কাউন্সিলর কামাল শরীফ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদ, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ মধু ও ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক তরিকুল ইসলাম পারভেজসহ মোট ১৭ জন।
মামলায় বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, ঝালকাঠি পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড রামনগর সাকিনের কীর্তিপাশা মোড়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় আমার আপন ভাই সুলতান হোসেন খান। তিনি উপজেলা নির্বাচনের ঝালকাঠি উপজেলার একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী।
আমার ভাইয়ের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষনার পর হতে অপর প্রার্থি খান আরিফুর রহমানের নির্দেশে মামলার আসামীরা ভয় ভীত হুমকী দিয়ে আসছে। ভাইয়ের নির্বাচনী প্রচারনার অংশ হিসাবে গত ১৪ মে সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ৭ টার দিকে ঘটনা স্থলে উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
এ সময় আসামী মোঃ খান আরিফুর রহমানের নির্দেশে সকল আসামীরা বে-আইনী জনতাবদ্ধে দা, লোহার রড, চাপাতি, হকস্টিক, জিআই পাইপ, রামদা, দেশীয় অস্ত্র-সন্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে অনধিকার প্রবেশ করে আমার ভাইয়ের উঠান বৈঠকে অতর্কিত ভাবে হামলা ও মারপিট শুরু করে।
আসামী মোঃ কামাল শরীফ এর হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ভাইয়ের মাথা লক্ষ্য করে কোপ দেয়। আমার ভাই সরিয়া যাওয়ায় উক্ত কোপ তাহার ডান বাহুতে লাগিয়া কাটা রক্তাক্ত জখম হয়।
এ সময় অপর আসামীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ভাইসহ কর্মী সমর্থকরা আহত হয়। তখন ভাইয়ের ব্যবহৃত গাড়ি ভাংচুর করে তার সাথে থাকা আই ফোন ছিনিয় নেয়। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে আসমীরা।
পরবর্তীতে আমার ভাবিসহ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমার ভাইসহ অন্যান্য ভিকটিমদের উদ্ধার করিয়া চিকিৎসার জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমদের শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাৎক্ষনিক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে।
এদিকে ১৪ মে সুলতান হোসেন খানের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশ জেলা ছাত্রলীগের আলফি শাহরুন শুভ, ইশতিয়াক আহমেদ ও তুহিন হাওলাদারকে আটক করেছে। এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, আটক ৩ জনের মধ্যে একজন এ মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী।
অন্য ২ জন সন্দিগ্ধ আসামী। অপর দিকে প্রতিপক্ষের একটি অভিযোগ এজাহার হিসেবে প্রক্রিয়াধীন আছে।