নাটোর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বিজয়ী প্রার্থী শরিফুল ইসলাম রমজানের সমর্থককে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগে করা মামলায় পরাজিত প্রার্থী জামিল হোসেন মিলনসহ দুইজনকেকে গ্রেপ্তারের করেছে পুলিশ।
মিলনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত নাটোরে পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, নাটোর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নাটোর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান এর কাপ পিরিচ মার্কায় ভোট করেন তালতলা হাফরাস্তা এলাকার রুবেল ইসলাম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গতরাত ৯টার দিকে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জামিল হোসেন মিলন ও তার সমর্থকরা রুবেল
ইসলামকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় মিলনের চেম্বারে। সেখানে ব্যাপক মারপিট করা হয় রুবেলকে। এসময় হাত, পা ও মাথায় গুরুতর জখম করা হয়।
পরে নাটোর ডিবি ও সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মিলনের চেম্বার থেকে রুবেল ইসলামকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ প্রথমে মিলনের গাড়ী চালক বাশারকে আটক করে।
পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে মিলনকে সদর থানায় নেওয়া হয়। এরপর এলাকায় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের উত্তেজনা শুরু হলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিজয়ী প্রার্থী শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, একজন প্রার্থী কর্তৃক নির্বাচন পরবর্তী এ রকম সহিংসতা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমার সমর্থক কে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে এবং পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এঘটনায় দোষীদের যথোপযুক্ত বিচারের দাবি করছি।
পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন , খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। এঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা থানায় মিলনকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় মিলন ও অপর আসামি তার ড্রাইভারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশ সুপার।