চলমান তীব্র তাপদাহে সিরাজগঞ্জের মহাসড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানে পিচ গলে যাচ্ছে। আর এ অবস্থায় যানবাহন চলাচল করায় দেবে যাচ্ছে রাস্তা।
ফলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে মহাসড়ক। গত দুই সপ্তাহ ধরে চলছে এ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সড়ক ও জনপথ বিভাগ যানবাহন চালকদেরকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে কম গতিতে সাবধানে চলাচলের পরামর্শ দিয়েছে।
একটানা প্রচন্ড রৌদ্রতাপে বগুড়া-পাবনা মহাসড়কে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার হাটিকুমরুল, বোয়ালিয়া বাজার, শ্যামলীপাড়া বাসস্ট্যান্ড, শ্রীকোলা ও কাওয়াক মোড়ের পাশে রাস্তার পিচ গলে গেছে।
এ অবস্থায় যানবাহন চলাচল করায় মহাসড়কের অনেক অংশ চার থেকে পাঁচ ইঞ্চি দেবে গেছে। কোথাও কোথাও গাড়ির চাকা রাস্তার যে স্থানের উপর দিয়ে যাচ্ছে সেখানে ড্রেনের মত অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহনের চাকার দাগ বসে যাচ্ছে সড়কে। এসব স্থানে যানবাহন চলছে ঝুঁকিতে।
উল্লাপাড়া থেকে রাজশাহীর মধ্যে চলাচলকারী রতন পরিবহনের সুপারভাইজার শহিদুল ইসলাম জানান, সূর্যের প্রচন্ড তাপে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ গলে রাস্তার অনেক অংশ দেবে গেছে।
দেবে যাওয়া অংশে প্রতিদিন তাদেরকে গতি কমিয়ে চলতে হচ্ছে। তারপরেও যাত্রীরা এসব স্থানে চলাচলে নিরাপদ বোধ করছেন না। কিন্তু মানুষের প্রয়োজনে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে তাদেরকে চলতে হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ মহাসড়কের শ্যামলীপাড়া ও কাওয়াক এলাকার অবস্থা বেশি খারাপ হয়ে পড়েছে।
তিনি এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রতি অবিলম্বে রাস্তা সংষ্কারের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান। শহিদুল ইসলামের মতো উক্ত মহাসড়কে চলাচলকারী আল-হামরা পরিবহন ও শাহজাদপুর ট্র্যাভেলসের সুপারভাইজারগণও অনুরূপ কথা বলে ক্ষতিগ্রস্থ মহাসড়ক সংষ্কারের দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলা অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, প্রচন্ড তাপদহে এবছর সারা দেশেই মহাসড়ক গুলোর বিভিন্ন স্থানে পিচ গলে রাস্তার মাঝে অনেকটা ড্রেনের মতো সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লাপাড়ার শ্যামলীপাড়া ও কাওয়াক এলাকায় রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গেছে। ইতোমধ্যেই তিনি ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তার অংশ গুলো পরিদর্শন করেছেন।
এই পথে চলাচলকারী যানবাহনের চালকদেরকে সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ মহাসড়কের অংশগুলো দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।