জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গুণ্ডা বাহিনী ভাড়া করে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় নারীসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত আটটার দিকে গুররুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের পূর্ব নওপাড়া গ্রামে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় আব্দুল মজিদ বাদি হয়ে ১৪ জনসহ অজ্ঞাত ৭ জনকে অভিযুক্ত করে গুরুদাসপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। রাতেই ডিবি ও থানা পুলিশের অভিযানে গুণ্ডা বাহিনীর ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল শনিবার দুপুরে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, আব্দুল মজিদের সাথে প্রতিবেশি আব্দুস সালামের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। তারা উপজেলার পূর্ব নওপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার সকালে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে আব্দুস সালাম গুণ্ডা ভাড়া করেন। ইফতারের পরপরই আব্দুস সালামের গুণ্ডা বাহিনী আব্দুল মজিদের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালান।
এসময় হাতুরি ও লোহার রড দিয়ে আব্দুস সালামের স্ত্রী, ভাইসহ ৫জনকে পিটিয়ে রক্ত্যাক্ত করেন। একপর্যায়ে ভাড়াটে গুণ্ডা বাহিনী প্রতিবেশিদের ওপরও হামলা চালান। এতে আরো চারজন আহত হন।
আহত প্রতিবেশী দিলদার হোসেন বলেন, আব্দুল মজিদের বাড়ির সামনের চায়ের দোকানে বসে ছিলেন তিনি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আব্দুস সালামের ভাড়া করা গুণ্ডা বাহিনী তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটাতে শুরু করেন। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে খলিল মন্ডল, জহির আলী, নিরব, দেলোয়ার, আমিরসহ বেশ কয়েক জনের ওপর হামলা চালানো হয়।
তিনি বলেন, নির্বাচারে হামলা চানালো দেখে গ্রামের মানুষ এসে গুণ্ডা বাহিনীর উজ্জল হোসেন (৩৫), বিপ্লব (২৬), মেহেদী হাসান (৩০) ও নজরুল ইসলামকে (৩২) গণপিটুনি দিয়ে আটকে রাখা হয়। আসামিরা পাশর্^বর্তী বড়াইগ্রাম উপজেলা থানা মোড় এলাকার বাসিন্দা।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. উজ্জল হোসেন বলেন- এলাকাবাসির দেওয়া খবরে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে গুণ্ডা বাহিনীর ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার দুপুরে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।