হরতালের নামে নাশকতা করায় বিএনপির ১১ নেতাকর্মীকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অম্লান কুসুম জিষ্ণু পৃথক দুটি মামলায় জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে এই আদেশ দেন।
বিএনপির এসব নেতাকমীর মধ্যে রয়েছেন, বাগাতিপাড়ার সাবেক পৌর মেয়র উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোশাররফ হোসেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক নেকবর হোসেন, হারুনূর রশিদ, আবু রায়হান, তোফাজ্জল হোসেন। এছাড়া লালপুর উপজেলার নজরুল ইসলাম মোলাম, আবেদ আলী মন্ডল, মেহেদী হাসান আরিফ, গিয়াস উদ্দিন ও লুৎফর রহমান।
আদালতের সরকারি কৌঁশুলী (পিপি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত বছরের ২৯ অক্টোবর হরতালের নামে নাশকতার প্রস্তুতি নিয়েছিল এসব আসামিরা। ওই রাতে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার বিহারকোল এলাকায় বিএনপির ১১ নেতাকর্মী একসাথে জড়ো হন।
এসময় পুলিশী অভিযানে বিএনপির ৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয় ২টি ককটেল ও ৪টি পেট্রলবোমা। নাশকতার এই ঘটনায় বাগাতিপাড়া থানার উপপরিদর্শক এ জে মিন্টু ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩৫ জনকে আসামি করে বাগাতিপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হয়ে ওই মামলায় জামিন চেয়ে ছিলেন আসামি পক্ষ। কিন্তু আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার নথি সূত্রে জানাগেছে, পৃথক আরো একটি ঘটনায় ২৯ অক্টোবর ভোর ৫টার দিকে নাটোরের লালপুর উপজেলার গৌরিপুরে সড়ক অবরোধ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এই ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ২২টি লাঠিসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে। লালপুর থানার উপপরিদর্শক রেজাউল করিম বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩০ জনকে অভিযুক্ত করে আরো একটি মামলা দায়ের করেন।
নাশকতার পৃথক দুটি মামলায় বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন ১১ আসামি। আদালত আসামিদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে আসামিদের নাটোর জেলহাজতে নেওয়া হয়।