বগুড়ার ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার (ইউএনও) সরকারী নম্বর ক্লোন করে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শেখ মতিউর রহমানের নিকট থেকে দুই দফায় ২লাখ টাকা প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার বিকেলে ধুনট শহরের কয়েকটি বিকাশ এজেন্টে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে বিকাশ ও নগদ সেন্টমানির মাধ্যমে প্রতারক চক্রের কাছে এই টাকাগুলো পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় যুবলীগের সভাপতি শেখ মতিউর রহমান বাদি হয়ে সোমবার রাতে ধুনট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ধুনট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারী মুঠোফোনের নম্বর থেকে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শেখ মতিউর রহমানের মুঠোফোনে ফোন করে জানানো হয় তাঁর সরকারী এই নম্বরে কল রেকর্ড হয়। তাই আমার ব্যক্তিগত তিনটি বিকাশ নম্বরে এক লাখ টাকা পাঠান। আমার টাকার খুব প্রয়োজন।
এসময় যুবলীগের সভাপতি উপজেলা নির্বাহীর কর্মকর্তার কথায় রাজি হয়ে প্রথম দফায় ধুনট শহরের বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠাত থেকে ওই তিনিটি বিকাশ নম্বরে এক লাখ টাকা পাঠান।
প্রথম দফায় এই টাকা পাঠানো পর একই কায়দায় আবারোও এক লাখ টাকা দাবী করা হয়। যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান তাৎক্ষনিকভাবে সেই টাকাও দ্বিতীয় দফায় নগদ ও সেন্টমানির মাধ্যে দিয়ে দেন। এর পর আবারোও একইভাবে ৫০ হাজার টাকা চাওয়া হয়।
এসময় যুবলীগের সভাপতি শেখ মতিউর রহমানের সন্দেহ হলে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারে তিনি প্রতারক চক্রের কাছে প্রতারণারশিকার হয়েছেন। এই ঘটনায় তিনি অজ্ঞাত প্রতরক চক্রের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।ৎ
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক খান বলেন, যুবলীগ নেতা মতিউর রহমানের কাছে টাকা চাওয়া নম্বরের সাথে আমার সরকারী মুঠোফোন নম্বর সঠিক ছিল। তাঁর ধারণা প্রতারক চক্র এই নম্বরটি ক্লোন করে তাঁর কাছে টাকাগুলো প্রতারণা করতে পারে।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈকত হাসান বলেন, যুবলীগ নেতা মতিউর রহমানের টাকা প্রতারণার বিষয়ে অভিযোগটি তদন্তের জন্য বগুড়া জেলা গয়েন্দা শাখাতে (ডিবি) পাঠানো হয়েছে।