কলেজছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলায় এক যুবককে ৬০ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ওই যুবকে ৪০ হাজার টাকা এবং অপর তিন আসামিকে ৩০ বছর করে কারাদন্ডের সাথে ২০ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার সকালে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন।
দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপরে। তারা হলেন, আতিক হাসান (৩২), সুমন আলী (৩৩), টিপু সুলতান (৪৩) ও আবু জাফর (৩৫)। এসব আসামির মধ্যে আতিক হাসানকে ৬০ বছর কারাদন্ড ও ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগি ওই কলেজছাত্রী নিজের বাড়ি থেকে ২০১৪ সালের ১০ আগস্ট সকালে (ঘটনার সময় বয়স ১৫ বছর ৮ মাস) প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিলেন। পথে ওই ছাত্রীকে সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নেন আসামিরা।
পরে আসামিদের মধ্যে আতিক হাসান ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ওই সময় গুরুদাসপুর থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর চাচা।
ওই মামলার তদন্ত শেষে একই বছরের ৯ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক সুব্রত কুমার মাহাতো। এরপর মামলাটি বিচারের জন্য নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আসে।
অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আসামি আতিক হাসানকে নারী ও শিশু নির্যাতনের পৃথক ধারায় ৬০ বছরের কারান্ড এবং অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে।
বিচার চলাকালীন সময়ে আসামিরা জামিনে মুক্ত ছিলেন। তবে গত রোববার আসামিদের জামিন বাতিল করা হয়। রায়ের পর সোমবার আসামিদের নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি আনিছুর রহমান বলেন, আদালতের রায়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী ন্যায্য বিচার পেয়েছেন। তবে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলের কথা জানিয়েছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী শরিফুল হক।