ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন, সিংড়ার ৫ লক্ষ মানুষের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আমরা দুটি লক্ষ্য স্থির করেছি, সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ এবং একটি মা ও শিশু বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ করা।
এগুলো বাস্তবায়নে আমরা ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনে কথা বলেছি। এর পাশাপাশি যে সকল মানবিক উদ্যোগ নেওয়া দরকার আমরা তা গ্রহণ করবো।
রোববার (২১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় নাটোরের সিংড়া ডায়াবেটিক সমিতির চক্ষু ইউনিটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন তিনি।
পলক বলেন, রাস্তাঘাট, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের পাশাপাশি আমাদের এই এলাকার মানুষের সবচেয়ে বড় একটা সমস্যা ছিল স্বাস্থ্যসেবা। আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত ডাক্তার ছিলোনা। জটিল কোন রোগের চিকিৎসা ছিলোনা, আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম ছিলোনা।
কোন প্রকার সার্জারীর ব্যবস্থা ছিল না। একটা মাত্র অ্যাম্বুলেন্স ছিলো। ডায়াবেটিকসহ যে কোন জটিল রোগের পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য আমাদের সিংড়াবাসীকে নাটোর ও রাজশাহীতে যেতে হতো।
আমি ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সিংড়ায় একটি ডায়াবেটিক হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করি। আজ সিংড়া ডায়াবেটিক হাসপাতাল সিংড়াবাসীর আধুনিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে আস্থা ও ভরসায় পরিণত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ডায়াবেটিক রোগীদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা থাকে। চোখের সমস্যা তার মধ্যে অন্যতম। আমাদের দেশে অনেক শিশু জন্মগতভাবেই চোখের সমস্যায় ভোগে। কিন্তু সামান্য পরীক্ষার অভাবে রোগ নির্ণয় করতে পারে না এবং ধীরে ধীরে চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে।
আমরা চক্ষুক্যাম্প পরিচালনা করে চক্ষু পরীক্ষার মাধ্যমে সেই সকল রোগীদের সমস্যা সনাক্ত করে চিকিৎসা দেওয়ার পর তাদের যে আনন্দ তা আমরা উপলব্ধি করেছি।
তাই আমরা সিংড়া ডায়াবেটিক হাসপাতালে চক্ষু ইউনিটের স্থাপনের উদ্যোগ নেই। আজ থেকে সপ্তাহে ৬ দিন (শনি - বৃহস্পতি) সকাল ৮টা- থেকে দুপুর ১টা এবং বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এখানে সার্বক্ষণিক একজন চক্ষু চিকিৎসক সেবা দিবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আল ইমরান এর সভাপতিত্বে ও সিংড়া ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা আ.লীগের সভাপতি এড. ওহিদুর রহমান শেখ, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এ এস এম আলমাস, রাজশাহী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. আশরাফুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সদস্য সরফরাজ নেওয়াজ বাবু প্রমুখ।
এর আগে সকাল ১০টায় নিজ বাসভবনে শীতার্তদের মাঝে ২০ হাজার কম্বল বিতরণের উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।