
উদ্ধার করলেন ইউএনও
বৃহস্পতিবার দুপুরে উল্লাপাড়া উপজেলার ঘিয়ালা গ্রামে বারুল্লাহ পীরের মাজারের জায়গার অবৈধ দখলকে কেন্দ্র করে এলাবাসীর সঙ্গে ইয়াছিন আলী গংদের কথাকাটাকাটি শুরু হয়।
খবর পেয়ে সিরাজগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক জয়সাগর পত্রিকার সম্পাদকসহ কয়েকজন সাংবাদিক সেখানে উপস্থিত হন। এসময় গোলযোগপূর্ণ স্থানে থাকা বারুল্লাহ পীর মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ রাকিব উদ্দিনকে জেরা করে সাংবাদিকরা।
এক পর্যায়ে গ্রামের লোকজন এগিয়ে এসে সাংবাদিকদেরকে অবরুদ্ধ করেন। পরে খবর পেয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জল হোসেন উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশের সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করেন।
অবরুদ্ধ সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন, সিরাজগঞ্জের জয়সাগর পত্রিকার সম্পাদক হাসান ইমাম, ও স্টাফ রিপোর্টার মনিরুল ইসলাম, হীরা আলী ও আইয়ুব আলী।
পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ঘিয়ালা গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন জানান, উক্ত পীরের মাজারের প্রায় ১৭ বিঘা জমি ঘিয়ালা গ্রামের ইয়াছিন আলী, জামাল উদ্দিন, রোকন আলী, দুলাল হোসেন, খোকন উদ্দিন, খবির আলী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখল করে সেখানে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে।
এই মাজারের পুকুরের একাংশ অবৈধ দখলদার ইয়াছিন আলী ইতোমধ্যেই ভরাট করে ফেলেছেন। এ নিয়ে পুরো গ্রামের লোকজন ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের প্রায়ই গোলযোগ চলছিল।
বৃহস্পতিবার এই গোলযোগের জের ধরে দখলদারদের সঙ্গে গ্রামের লোকজনের বচসার একপর্যায়ে উল্লিখিত সাংবাদিকগণ সেখানে উপস্থিত হন এবং তারা এ বিষয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ রাকিব উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং কাগজপত্র দেখতে চান। তিনি আপত্তি জানালে সাংবাদিকরা তার উপর চড়াও হন।
এ ব্যাপারে বারুল্লাহ পীর হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ রাকিব উদ্দিন জানান, সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে এসে আমাকে বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের বিষয়ে জানতে চান। আমি অপরাগতা প্রকাশ করলে তারা আমার সঙ্গে অশোভন আচরন করেন।
সাংবাদিক হাসান ইমাম অভিযোগ করেন, ঘটনার সময় তারা উক্ত মাজারের গোলযোগপূর্ণ জায়গায় গিয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের সময় উত্তেজিত এলাকাবাসী তাদের উপর আক্রমন করে এবং তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে উল্লাপাড়ার ইউএনও ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উজ্জল হোসেন জানান, উক্ত মাজারের সম্পত্তি স্থানীয় প্রভাবশালী ইয়াছিন আলী, জামাল উদ্দিন, রোকন আলী, দুলাল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন অনেকদিন ধরেই অবৈধভাবে দখল করে আসছে। তাদেরকে উচ্ছেদের জন্য ইতোপূর্বে নোটিশও দেওয়া হয়েছে। তারপরও তারা দখল ছাড়ছে না।
এনিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও গ্রামের লোকজনের সঙ্গে অবৈধ দখলদারদের গোলযোগ বাঁধে। এসময় উল্লিখিত কয়েকজন সংবাদকর্মী ঘটনাস্থলে গিয়ে জনতার আক্রমনের মুখে পড়েন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের ব্যাপারে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।